ভারতে বিশ্বে একদিনে সর্বোচ্চ প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটিতে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৩শ’ জনের। শুক্রবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লাখ ৩২ হাজার মানুষ। যা বৃহস্পতিবারের তুলনায় ১৭ হাজার বেশি। এই নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১ কোটি ৬২ লাখ ৬৩ হাজার ৬৯৫ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন।
এছাড়া বৃহস্পতিবার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২ হাজার ১০২ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হলেও শুক্রবার সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৬৩ জনে যা মৃত্যুতেও নতুন রেকর্ড হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯২০ জনে। এর আগে ভারতে গত বছরের ১৬ জুন এক দিনে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।রাজধানী নয়াদিল্লিসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের হাসপাতালে একেবারেই অক্সিজেন নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে ভেঙে পড়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা।
এ অবস্থায় দেশটিতে ট্রিপল মিউট্যান্ট বা তিনবার রূপ পরিবর্তনকারী তিনগুণ বেশি শক্তিশালী নতুন করোনার সন্ধান মিলেছে। যা টিকা নিলেও প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়।
অক্সিজেন না পেয়ে রোগীকে নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছোটাছুটির কথাই বলছিলেন এই ব্যক্তি। কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও রাজধানী নয়াদিল্লির কোথাও ভর্তি করাতে পারেননি। অক্সিজেন নেই বলে ফিরিয়ে দিয়েছে হাসপাতালগুলো। কারণ পুরোনো রোগীদেরই অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।
খোদ স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, যে পরিমাণ অক্সিজেন দরকার তার কিছুই নেই তাদের কাছে। চরম সংকটের কারণে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। দুই হাজারের বেশি মানুষ প্রতিদিন মারা যাচ্ছেন।করোনা প্রকোপের সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে ভারত। একদিনে সাড়ে তিন লাখের মতো মানুষ কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়া বিশ্বে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
দিল্লি ছাড়াও, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের অবস্থা সব থেকে খারাপ। অনেক স্থানে লকডাউন বা বিধিনিষেধ চলছে। তবুও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না।এ অবস্থায় ভারতে ট্রিপল মিউট্যান্ট বা তিনবার রূপ পরিবর্তনকারী নতুন করোনার সন্ধান মিলেছে। যা অতি দ্রুত ছড়াচ্ছে এবং তিনগুণ বেশি শক্তিশালী। এতে রোগীর মৃত্যু দ্রুত হচ্ছে বলেই মনে করছে কর্তৃপক্ষ। শিশুদেরও যা ভোগাচ্ছে।
নতুন এই করোনা প্রতিরোধে বিদ্যমান টিকাগুলো কতটা কার্যকর তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ করোনা টিকা থেকে দেহে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তাকে সহজে ফাঁকি দিয়ে কোষে প্রবেশ করতে পারে ট্রিপল মিউট্যান্ট কোভিড।
Leave a Reply