২০ মাসের শিশুকে একা ঘরে রেখে জন্মদিন পালন করতে গিয়েছিলেন তরুণী মা। ৬ দিনের পার্টি শেষে বাড়ি ফিরে দেখেন মেয়ে মারা গেছে। খাবার না পেয়ে, পানির অভাবে, ডিহাইড্রেশন আর জ্বরে মৃত্যু হয় শিশুটির। ময়নাতদন্তে জানানো হয়, ‘অবহেলা’ই শিশুটির মৃত্যুর কারণ।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ব্রাইটনের এই ঘটনায় মৃত শিশুকন্যার মা ভার্পি কুডিকে ইতোমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে হত্যার মামলাও চলছে আদালতে।
সেই মামলার শুনানিতে জানা গেছে, ডিসেম্বরের ঘটনাটি প্রথমবার ঘটেছে এমন নয়। ওই বছরেরই অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ মাসে মোট ১১ বার মেয়েকে একা ফেলে নিজের কাজে চলে গিয়েছিলেন মা ভার্পি।
২০ মাসের মেয়ে এশিয়াকে নিয়ে ব্রাইটনের এক ভাড়া বাড়িতে থাকতেন ভার্পি। আদালতকে তার ‘অবহেলা’র কথা জানিয়েছেন সেই বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এবং অন্যান্য বাসিন্দারাই। তারা জানিয়েছেন, প্রথমবার যেদিন মেয়েকে একা রেখে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ভার্পি, তাকে এ ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন ওই বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়ারা। তবে তাতে তার আচরণ বদলায়নি। ডিসেম্বরে নিজের ১৮তম জন্মদিন পালন করতে মেয়েকে ঘরে একলা রেখেই ব্রাইটন থেকে অন্তত ১৫০ মাইল দূরে, লন্ডনে, কোভেন্ট্রি এবং সোলিহালে পার্টি করতে চলে যান ভার্পি। ।
প্রায় এক সপ্তাহ পর বাড়ি ফেরেন ভার্পি। তবে তত দিনে একলা ঘরে মাকে ছেড়ে, খাবার, পানি না পেয়ে মারা গেছে ২০ মাসের এশিয়া। পুলিশ জানিয়েছে, জরুরি নম্বরে ফোন করে মেয়ের ঘুম না ভাঙার কথা জানান ভার্পি। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে এশিয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এই মামলায় এক সপ্তাহ পরেই ভার্পির সাজা ঘোষণা হওয়ার কথা। তার আত্মীয়দের আশঙ্কা, বার বার মেয়ের প্রতি অবহেলা করার তথ্য তার সাজার মেয়াদ বাড়াতে পারে।
Leave a Reply