রুটি বানানোর সময় ঝগড়ার মধ্যেই বেলন দিয়ে স্বামীর মাথায় আঘাত করে স্ত্রী। এতে সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয় স্বামী গণেশ দাসের। পরে সেপটিক ট্যাঙ্কে স্বামীর মরদেহ লুকিয়ে রাখে স্ত্রী। এ ঘটনায় কলকাতার দমদমের বেদিয়াপাড়ার অভিযুক্ত স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় কার্তিক দাস নামে এক ব্যক্তি দমদম থানায় অভিযোগ করেন গণেশকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরই পুলিশ বেদিয়াপাড়ায় গণেশের শ্বশুরবাড়িতে অভিযান চালায়। পরে পুলিশ সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে গণেশের মরদেহ উদ্ধার করে। খুনে ব্যবহৃত রুটি তৈরির বেলনও এ সময় উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করেছে নিহতের স্ত্রী। তিনি বেলেন- প্রতিদিন মদপান নিয়ে গণেশের সঙ্গে ঝগড়া লেগেই থাকত। শুক্রবার রাগের বশে বেলুন দিয়ে মাথায় আঘাত করে সে। তাতেই মৃত্যু হয় গণেশের। প্রমাণ ঢাকতেই সেপটিক ট্যাঙ্কে তার মরদেহ লুকিয়ে রাখে স্ত্রী। ফেলে দেয় খুনে ব্যবহৃত বেলনও। গণেশ দাসের স্বজনদের দাবি, বছর দশেক আগে ময়না দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতে শুরু করেন গণেশ। তারপর থেকেই গণেশ মদপান বেড়ে যায়। তা নিয়ে গণেশ ও ময়নার মধ্যে ঝগড়া হত। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত।
Leave a Reply