কয়েক মাস ধীরগতির পর আবারও বাড়ছে চীনে করোনার সংক্রমণ। গেল দুই মাসের মধ্যে দেশটিতে রেকর্ড ৩২ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। দেশটির দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পেছনে মিয়ানমারকে দুষছে সংশ্লিষ্টরা।
২০১৯-এর ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথমবারের মতো করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। এরই মধ্যে মহামারি করোনায় বিশ্বে ১৩ কোটির বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন সাড়ে ২৮ লাখের বেশি মানুষ। তবে, যেই চীন থেকে মহামারিটি শুরু হয় সেখানে কমে যায় সংক্রমণের মাত্রা।
তবে সম্প্রতি দেশটিতে নতুন করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। গেল রোববার (৪ এপ্রিল) একদিনে ৩২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হন। গত দু’মাসের দৈনিক সংক্রমণ শনাক্তের হিসেবে এটিই সর্বোচ্চ সংখ্যা।
দেশটির গণমাধ্যম অনুসারে, নতুন রোগীদের মধ্যে স্থানীয় যারা, তাদের সবাই চীনের ইউনান প্রদেশের রুলি শহরের বাসিন্দা। এরই মধ্যে শহরটির বাসিন্দাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ব্যাপক হারে শুরু হয়েছে করোনা পরীক্ষা। একই সঙ্গে শহরটিতে প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
রুলি শহরে শনাক্ত হওয়া রোগীদের শরীরের করোনাভাইরাসের সঙ্গে মিয়ানমারের ভাইরাসের মিল পাওয়া গেছে। বলা হচ্ছে, সীমান্ত এলাকা হওয়ায় মিয়ানমার থেকে চীনের এই অঞ্চলে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। ইউনান প্রদেশের অন্যতম প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট রুলি। লাওস, মিয়ানমার ও ভিয়েতনামের সঙ্গে এই প্রদেশের ৪ হাজার কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে।
Leave a Reply