পটুয়াখালীর বাউফলে যৌতুকের টাকা না পেয়ে গৃহবধুর কান কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির
লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে ওই গৃহবধু সোমবার বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন স্বামী মাহবুব আলম ও শ্বশুর কালু হাওলাদারসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
অভিযোগে বলা হয়, ২০১৩ সালে মাহবুব আলমের সাথে রাবেয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রাবেয়ার পরিবার জামাই মাহবুবকে আনুসঙ্গিক আসবাবপত্র উপহার দেন। কিন্তু বিয়ের চার বছর পর মাহবুব তার স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি করে। ওই সময়ে নগদ টাকা দিতে না পারায় মাহবুব তার শ্বশুরের কাছ থেকে ৪৫ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করিয়ে নেয়। কিন্তু মাহবুব পুনরায় দুই লাখ টাকা দাবি করে বসে রাবেয়া ও তার পরিবারের কাছে। রাবেয়ার বাবা ওই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাবেয়ার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
এ ঘটনা জানার পর রাবেয়ার বাবা ও বড়ভাই গত ২৪ এপ্রিল সকালে তার স্বামীর বাড়ি যায় এবং স্থানীয় লোকজন নিয়ে সালিশী বৈঠক করেন। সালিশী বৈঠক চলাকালে মাহবুবের নেতৃত্বে পরিবারের অন্যান্য লোকজন রাবেয়ার বাবা ও বড়ভাইয়ের ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে ধারালো দা দিয়ে রাবেয়ার বাম কান কেটে দেয় এবং ওই অবস্থায় তাকে সন্তানসহ তাড়িয়ে দেয়। স্থানীয়রা রাবেয়া তার বাবা ও ভাইকে উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল মামুন জানান, ঘটনা শুনেছি। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
Leave a Reply