উইমেন ডেস্ক : বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ৮ আশ্বিন ১৪২৮ |
ফেনীর আলোচিত আল-আমিন হত্যাকাণ্ডে ডায়মন্ড নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মঙ্গলবার রাতে দিনাজপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সিআইডি জানিয়েছে, একটি প্রেমের সম্পর্ক থেকেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
সিআইডি কার্যালয়ে বুধবার এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর। তিনি বলেন, ৩ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে ফেনী পৌরসভার পশ্চিম বিজয়সিংহ লুদ্দারপাড় গ্রামে একটি টিনশেড কলোনিতে আল-আমিন নামে এক ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ঘটনার পর ছায়া তদন্ত শুরু করে সিআইডি।
তিনি জানান, আল-আমিন এবং তার বড় ভাই তোফাজ্জল হোসেন ও আসামি মো. ডায়মন্ড ওই টিনশেড কলোনির একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন। তারা তিনজনই ফেনী শহর ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় জিনিসপত্র ফেরি করে বিক্রি করতেন। তদন্তে সিআইডি জানতে পারে, আসামি ডায়মন্ডের সঙ্গে নিজ গ্রামের কুমারী পপি মন্ডল নামে এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যদিও সম্পর্কটি বেশিদিন টিকেনি। ভুল বোঝাবুঝির কারণে সম্পর্কটি ভেঙে যায়। এর কিছুদিন পর কুমারী পপি মন্ডল বিষপান করে আত্মহত্যা করেন।
পপির আত্মহত্যার পর একদিন ডায়মন্ড জানতে পারে আল-আমিন সুকৌশলে ডায়মন্ডের ফোন ব্যবহার করে পপি মন্ডলকে বলেছে, ডায়মন্ড তাকে ভালোবাসে না। যার পরিপ্রেক্ষিতেই পপি আত্মহত্যা করেছে। এছাড়াও ডায়মন্ড আরও জানতে পারে নিহত আল-আমিন তার ৩ সহযোগী রুবেল মন্ডল, হাসিবুর রহমান ও আবু বক্করকে নিয়ে কিছুদিন আগে পপির ঘরে ঢুকে তাকে যৌন নিপীড়ন করে।
সিআইডি কর্মকর্তা মুক্তা ধর বলেন, ডায়মন্ড এসব ঘটনা জানতে পেরে আল-আমিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ৩ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে সে ছুরি নিয়ে আল-আমিনের ওপর হামলা করে এবং তার বুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এ সময় আল-আমিনকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে আল-আমিনের বড় ভাই তোফাজ্জলকেও ডায়মন্ড ছুরিকাঘাত করে। তাদের চিৎকারে কলোনির অন্য বাসিন্দারা এগিয়ে এলে ডায়মন্ড দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে আহত আল-আমিন মারা যায়।
ঘটনাটি বিভিন্ন সংবাদ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলে সিআইডির এলআইসি শাখা ছায়া তদন্ত শুরু করে। অবশেষে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া এলাকা থেকে ডায়মন্ডকে গ্রেফতার করা হয়।
Leave a Reply