1. akmolbangladesh@gmail.com : Press Times :
শিরোনামঃ
পিরোজপুরে ওয়ার্ড পর্যায়ে বিএনপির সদস্য ফর্ম যাচাই বাচাই কার্যক্রম করেছে পিরোজপুর পৌরসভা বিএনপি পুলিশের মনোবল ফেরাতে কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার আবু নাসের এর নানা উদ্যোগ পিরোজপুরে সদস্য ফর্ম যাচাই বাচাই চুড়ান্ত ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনের লক্ষে যাচাই বাছাই শুরু করেছে কাউখালী বিএনপি পিরোজপুরে পুনাক সভানেত্রী কর্তৃক হাসেঁর খামার এর উদ্ধোধন  পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন পিরোজপুরে সাংবাদিকদের সাথে পুলিশ সুপারের ঈদোত্তর মতবিনিময় ঈদের দীর্ঘ ছুটিতেও পিরোজপুরে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ইন্দুরকানীতে ঈদ উপহার বিতরণ করেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক মনিরুল ইসলাম মারুফ পিরোজপুরে সাংবাদিক সাঈদ খানের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল

ডিম-মুরগির দাম বৃদ্ধি : ১৫ দিনে ৫১৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মাফিয়া চক্র

  • আপডেট টাইমঃ শনিবার, ২০ আগস্ট, ২০২২
  • ৯১ মোট ভিউ

উইমেন ডেস্ক : একটি মাফিয়া চক্র গত ১৫ দিনে ডিম ও মুরগির বাজার থেকে ৫১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দেশের প্রান্তিক খামারি ও ডিলারদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি বলছে, গত দুই সপ্তাহে চক্রটি পরিকল্পিতভাবে ডিম, মুরগি ও বাচ্চার দাম বাড়িয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি।

শনিবার (২০ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ জানান সংগঠনের সভাপতি সুমন হাওলাদার।

তিনি বলেন, দেশে পোল্ট্রি খাত মাফিয়া চক্রের হাতে চলে গেছে। কাজী ফার্মস, প্যারাগন, সিপি, নারিশ, ৭১, আফিল, সাগুনাসহ ১০ থেকে ১২টি বড় কোম্পানি যৌথভাবে এই চক্র তৈরি করেছে। চক্রটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে সারা দেশে প্রান্তিক খামারিদের ধ্বংস করতে চাইছে। এরই মধ্যে পরিকল্পিত চক্রান্তে দেশে প্রায় অর্ধেক প্রান্তিক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। যারা এখনও টিকে আছে, তারা ডিম ও মুরগি উৎপাদন করলেও দাম নির্ধারণ করতে পারে না। এ দাম নির্ধারণ করে দেয় বড় কোম্পানিগুলো। যখন প্রান্তিক খামারিদের হাতে ডিম ও মুরগি মজুত থাকে, তখন তারা দাম বাড়াতে চায় না। কিন্তু কোনো কারণে দাম কমে এলে বড় কোম্পানিগুলো বাজারে ডিম ও মুরগি ছাড়া বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে দেশে ডিম ও মুরগির বাজারে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে এটি বড় কোম্পানিগুলো জেনেশুনে করছে।

সুমন হাওলাদার বলেন, বর্তমানে এক বস্তা ফিড প্রান্তিক খামারিকে কিনতে হয় ৩ হাজার ৩০০ টাকায়। কিন্তু কোনো খামারি বড় কোম্পানির সঙ্গে কন্ট্রাক্ট ফার্মিং করলে ওই বস্তা পাওয়া যায় আড়াই হাজার টাকায়। অর্থাৎ কোম্পানিগুলো বস্তা প্রতি ফিডে ৮০০ টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করেছে। তারা প্রতিটি ডিমে বাড়তি লাভ করছে ৩ টাকা। প্রতিটি ব্রয়লারের বাচ্চা বিক্রি করে বাড়তি লাভ করছে ২০ থেকে ২২ টাকা।

দেশে প্রতিদিন ডিমের চাহিদা সাড়ে চার কোটি পিস জানিয়ে এই সভাপতি বলেন, এর মধ্যে বড় কোম্পানিগুলোই জোগান দেয় আড়াই কোটি। প্রতি ডিমে ৩ টাকা করে বেশি নিয়ে প্রতিদিন ৭ কোটিরও বেশি টাকা তারা অবৈধভাবে লাভ করেছে। এভাবে গত ১৫ দিনে বড় কোম্পানিগুলো ডিমের বাজার থেকে ১১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। দেশে ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ কমিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে। এভাবে প্রতিদিন ১৯ কোটি ৫০ লাখ কেজি মজুত সংকট তৈরি করে এবং পরবর্তী সময়ে তা ছেড়ে প্রতি কেজিতে বাড়তি নেয়া হয়েছে ১৫ টাকা। এর মাধ্যমে গত ১৫ দিনে বড় কোম্পানিগুলো ১৭২ কোটি টাকার বেশি লাভ করেছে।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, প্রতিদিন এক কোটি ৩০ লাখ বাচ্চা বিক্রি থেকে গড়ে ১২৯ টাকা বেশি নিয়েছে বড় কোম্পানিগুলো। এর মাধ্যমে গত ১৫ দিনে তাদের বাড়তি মুনাফা ২৩৪ কোটি টাকা। মুরগি ও ডিমের দাম আসলে আড়তে নির্ধারণ হয় না। সারা দেশে আড়তগুলোতে বড় কোম্পানির লোকজন থাকে। বড় কোম্পানিগুলো যে দাম নির্ধারণ করতে বলে, আড়তগুলোতে সেই দামেই নির্ধারণ হয়ে থাকে। এই প্রক্রিয়া দেশের ভোক্তাদের জন্য শুভ নয়। এতে প্রান্তিক খামারিরা অস্তিত্ব সংকটে পড়বেন এবং প্রতিটি ডিম ২০ টাকায় খেতে হবে। আর ব্রয়লার মুরগি খেতে হবে ৪০০ টাকা কেজিতে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খন্দকার, সহ-সভাপতি বাপ্পি কুমার দে প্রমুখ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও পড়ুনঃ
© All rights reserved © 2021 | Powered By Uttoron Host
Site Customized By NewsTech.Com