উইমেন ডেস্ক: কুষ্টিয়ার স্কুল শিক্ষক রবিউল ইসলাম হত্যা মামলার যাবজ্জীবন কারাদন্ড সাজাপ্রাপ্ত ৪ পলাতক আসামী গ্রেফতার।সোমবার রাত ৩টায় তাদের গ্রেফতার করেছে র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের অভিযানিক দল।
আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪ টায় প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান।
র্যাব জানায়,গত ২৯ ডিসেম্বর ২০০৫ তারিখ স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার রনজিতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক রবিউল ইসলামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটে বলে জানা যায়।
উক্ত হত্যাকান্ডের প্রেক্ষিতে নিহতের শ^শুর বাদী হয়ে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে, যার মামলা নং-১০, তারিখ-৩০/১২/২০০৫, ধারা ৩০২/১০৯, পেনাল কোড-১৮৬০, জিআর নং-৯৮/০৫।
উক্ত মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের ৩১ আগষ্ট আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০২৩ সালের ০৩ জানুয়ারি কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিজ্ঞ বিচারক ০৭ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ২৫,০০০/-টাকা জরিমানা করে রায় প্রদান করেন। হত্যাকান্ডের পর থেকেই আসামিগণ আত্মগোপনে চলে যায়। সাজাপ্রাপ্ত একজন আসামি রোগাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেফতারের ব্যাপারে র্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় মোঃ মারুফ হোসেন পিপিএম, অধিনায়ক র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় এবং র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৮ এর সহযোগিতায় সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্প, র্যাব-১২ এর অভিযানে গত রাত ০৩.০০ ঘটিকায় ঢাকা, মাদারিপুর এবং কুষ্টিয়া হতে উক্ত হত্যা মামলার যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ১) মোঃ দেলবার (৭০), ২) মোঃ ফিরোজ (৬৫), উভয় পিতা- মোকাদ্দেস আলী, ৩) মোঃ সবুজ (৩০), পিতা-মোঃ ফিরোজ, সর্বসাং-রনজিতপুর, থানা-ইবি, জেলা- কুষ্টিয়া এবং ৪) মোঃ হেলাল (৩৫), পিতা-রফিউদ্দিন, সাং-সিরামপুর, থানা-শৈলকুপা, জেলা- ঝিনাইদহ’কে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামি ফিরোজ এবং সবুজ হত্যাকান্ডের পর ঘর-বাড়ি এবং সম্পত্তি বিক্রি করে মাদারিপুর চলে যায়। সেখানে তারা নিজেদের নাম ঠিকানা পরিবর্তন করে নতুন এনআইডি তৈরি করে বসবাস করছিল। দেলবারও নিজের জমি-জমা বিক্রি করে কুষ্টিয়ার পোড়াদহে বাড়ি তৈরি করে মধু চাষী হিসেবে জীবন যাপন করছিল। অপর আসামি হেলাল ঢাকার উত্তরায় টাইলস মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করতো।
উক্ত হত্যা মামলার বাকি পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে প্রেরণ করতঃ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply