উইমেন ডেস্ক: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় চাচা আব্দুল মালেককে (৪৫) হত্যার দায়ে ভাতিজা সোহেল রানাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। মামলার অপর এক আসামি মইনুল ইসলামকে খালাস দেন আদালত।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সোহেল রানা (১৮) হাতীবান্ধা উপজেলার ২ নং দোয়ানী পিত্তিফাটা গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।
মামলার সূত্র জানা যায়, ২০২১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে হাতীবান্ধা উপজেলার ২ নং দোয়ানী পিত্তিফাটা গ্রামে রাত ৮টার দিকে চাচা আব্দুল মালেককে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে ভাতিজা সোহেল রানা। প্রতিবন্দ্বী বলে বিরূপ মন্তব্য করায় ক্ষুব্ধ হয়ে সোহেল রানা তার চাচা আব্দুল মালেককে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহত আব্দুল মালেকের বাবা আব্দুল বারেক বাদী হয়ে হাতীবান্ধায় থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এরপর পুলিশ সন্দেহভাজন আসামি মইনুল ইসলামকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে। পরে তার জবানবন্দি অনুসারে আসামি সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোহেল রানা ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
নিহত আব্দুল মালেকের শ্যালক বাবু মিয়া বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। কারণ অভিযুক্ত ছেলেটি ক্ষিপ্ত হয়ে এ কাজটি করেছে। সে অনেক ভাল ছেলে। আমরাও বুঝতে পারিনি সে আমার দুলাভাইকে হত্যা করবে।
Leave a Reply