উইমেন ডেস্ক : পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় মহালয়ায় পুণ্য অর্জনের জন্য পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের করতোয়ার পূর্বপাড়ে বোদেশ্বরী মন্দির দর্শনের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন নবদম্পতি হিমালয় ও বন্যা। এ সময় মাঝনদীতে নৌকা উল্টে অনেকের সঙ্গে পানিতে পড়ে যান এই নবদম্পতি। বুদ্ধি খাটিয়ে তীরে ওঠেন স্ত্রী বন্যা। তবে খোঁজ মেলেনি স্বামী হিমালয়ের।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে নদীর তীরে স্বামীর প্রতীক্ষায় বসে আছেন বন্যা।
নিখোঁজ ব্যক্তি বোদা উপজেলার ময়দানদিঘি খালপাড়া গ্রামের বীরেন্দ্রনাথ-সারদা রানী দম্পতির ছেলে হিমালয়। হিমালয়ের দুলাভাই গিরি বাবু জানান, শ্যালকের খোঁজে মধ্যরাত অবধি করতোয়া নদীর তীরে অপেক্ষা করেছিলাম। সোমবার ভোরে আবারও এসেছি। প্রায় দেড় মাস আগে হিমালয়ের বিয়ে হয় বন্যা রানীর সঙ্গে। মহালয়ার অনুষ্ঠানে পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে এক নৌকায় ছিলেন তারা। বন্যা সাঁতরে তীরে উঠলেও হিমালয় ও তার মামাতো বোন আঁখি (১৬) এখনও নিখোঁজ।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় তার স্ত্রীর মামি ও খালা মারা গেছেন। রোববার তাদের মরদেহ পাওয়া গেছে। পরিবারের অপর দুই নিখোঁজ সদস্যের খোঁজে নদী তীরে অপেক্ষা করছি।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক সৈয়দ মাহাবুবু আলম জানান, পঞ্চগড় রংপুর কুড়িগ্রাম ও রাজশাহী থেকে তিনটি ডুবুরি দল সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে ভাটি অংশের ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত অভিযান চালানো হবে।
উল্লেখ্য, রোববার বিকেলে মহালয়া উপলক্ষে পাঁচপীর, বোদা, মাড়েয়া, ব্যাঙহারি এসব এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নৌকায় করে বদেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছিলেন। এ সময় নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী ছিল। এ কারণে মাঝ নদীতে পৌঁছানোর পর যাত্রীর চাপে নৌকা ডুবে যায়। এ সময় কিছু মানুষ সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বেশির ভাগ যাত্রীই এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
Leave a Reply