উইমেন ডেস্ক : দালালদের দৌরাত্ব এবং ঘুষ দুর্নিতির অভিযোগে কুষ্টিয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)।
অভিযানে কুষ্টিয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে তিন দালালকে আটক করা হয়েছে। পরে আটক ওই তিন দালালকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
বুধবার (২৪ আগষ্ট) দুপুরে দিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্মিত কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সরকারী পরিচালক নিল কোমল পাল এর নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজেলার চৌড়হাস আদর্শপাড়া সলক আলীর ছেলে রিপন (২৭), চৌড়হাস এলাকা ছরোয়ার হোসেনের ছেলে মহিবুল (৪০) এবং সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার আবুল কাসেমের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৪০)।
এর মধ্যে মহিবুল এবং দেলোয়ারকে তিনমাসের কারাদণ্ডসহ ৫হাজার টাকা জরিমানা এবং অপর দালাল রিপনকে ১ মাসের কারাদণ্ডসহ ৫হাজার টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দবির উদ্দিন।
দুদক ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানা গেছে, পাসপোর্ট অফিসে সেবা নিতে আসা মানুষ দালালের মাধ্যমে হয়রানির শিকার, এবং কিছু অসৎ কর্মচারি ঘুষের বিনিময়ে কাজ করছেন, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন দুদক। পরে তারা পাসপোর্ট অফিসের ভেতর থেকে তিনজনকে আটক করে। অভিযানের সময় পাসপোর্ট অফিস থেকে ১লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। এছাড়াও অফিসের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ ফাইল পত্র তল্লাসী এবং সেগুলো পর্যালোচনা করেন দুদকের এক্সপার্ট টিম।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দবির উদ্দিন বলেন, পাসপোর্ট অফিসে সেবা নিতে আসা মানুষ দালালের মাধ্যমে হয়রানির শিকার, এবং কিছু অসৎ কর্মচারি ঘুষের বিনিময়ে কাজ করছেন, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের পক্ষ থেকে সেখানে অভিযান চালিয়ে তিন দালালকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের কুষ্টিয়ার সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নিল কমল পাল বলেন, পাসপোর্ট অফিসে দালালদের দৌরাত্ব এবং সেবা নিতে আসা সেবাগ্রহীতারা বিভিন্ন ভাবে ভোগাস্তীর স্বীকার হচ্ছে এমন অভিযোগেই মুলত এখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে হাতে নাতে তিন দালালকে আটক করা হয়েছে। এবং এখান থেকে বেশ কিছু নগদ টাকা উদ্ধার এবং কিছু কাগজ পত্র পর্যালচনা করে উর্ধতন কতৃপক্ষে কাছে একটি রিপোর্ট পাঠানো হবে । পরে সেখান থেকে পাওয়া নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক জাহিদুল ইসলাম জানান, লোকবল সংকটের কারনে কিছু বহিরাগত লোক ঢুকে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে এর সাথে অফিসের কেউ জড়িত না। যারা অপরাধি তাদের বিচার হওয়া উচিৎ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
Leave a Reply