উইমেন ডেস্ক : কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় এক গৃহবধুকে তুলে নিয়ে গিয়ে চার দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী নারী থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে তাকে ফিরিয়ে দেয়। পরে ওই নারী আদালতের স্মরণাপন্ন হলে আদালত মামলা গ্রহন করেন।
দায়ের করা মামলা অনুযায়ী, ঘটনা ঘটে ২৬ মার্চ উপজেলার বরুরিয়া গ্রামে। ২৪ বছর বয়সী ওই নারী ৬ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তানের জননী। তার স্বামী একজন দিনমজুর।
তিনি মামলায় উল্লেখ করেন, উত্তর পাড়সাওতা এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে রাসেল আহম্মেদ দীর্ঘদিন ধরে তাকে নানাভাবে উত্যক্ত ও কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তিনি রাজী না হওয়ায় তাকে তুলে যাওয়ার হুমকি দেয় রাসেল।
গত ২৬ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই গৃহবধূ তার মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে পাশ^বর্তী গ্রামে ব্যাটারি চালিত ভ্যানে করে তার দাদা বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ফাঁকা রাস্তা থেকে অস্ত্রের মুখে রাসেল আহম্মেদ (২৫), একই এলাকার মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে হেলাল শেখ (২৮) ও মৃত উকাল শেখের ছেলে আলিমান সেখ (৩২) তাকে জিম্মি করে। এসময় তার মেয়ে সাথে ছিল। সন্ত্রাসীরা মেয়েকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে দিয়ে ওই গৃহবধূকে তুলে নিয়ে যায়। পরে মেয়েটি ভ্যানচালকের সাথে তার বাড়িতে ফিরে যায়।
মামালায় বলা হয়, তাকে মোটরসাইকেলে করে কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের একটি গ্রামের একটি বাড়িতে হাত, পা ও মুখ বেঁধে তাকে আটকে রেখে ওই দিন রাত থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত ধর্ষণ করে আসামিরা।
৩১ মার্চ রাত ১১টার দিকে তিনি কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে তার বাড়িতে আসেন। বাড়িতে আসার পর তিনি স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেন।
এরপর ১ এপ্রিল ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেন। কিন্তু পুলিশ কয়েক ঘন্টা থানায় বসিয়ে রেখে বলে দেয় মামলা গ্রহন করা যাবে না।
ওই নারী জানান, কেন মামলা নেয়া যাবে না জানতে চাইলে থানার ওসি তাকে বলেন এ মামলা নিতে আদালতের আদেশ লাগবে। এরপর তিনি ৩ এপ্রিল কুষ্টিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।আদালত কুমারখালী থানা পুলিশকে মামলা নেওয়ার জন্য আদেশ দেন এবং ৪ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, আদালতের নিদের্শে থানায় একটি মামলা গৃহীত হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply