আন্তর্জাতিক ডেস্ক:অনাস্থা ভোটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে ইমরান খানকে। তিনিই দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী যাকে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হলো। এদিকে ইমরান খানের বিদায়ের ঘটনায় বেশ খুশি পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজের (পিএমএল-এন) ভাইস প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নওয়াজ শরীফ।
রোববার এক বিবৃতিতে মরিয়ম নওয়াজ স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, পাকিস্তানের খারাপ সময় শেষ। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, আমার প্রিয় পাকিস্তানের দুঃস্বপ্নের সময় শেষ। এখন সময় ঘুরে দাঁড়ানোর এবং সব কিছু ঠিক করার।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের ইতিহাসের কালো অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটেছে। আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে মাথা নত করি এবং তার নির্দেশনা মেনে চলি ও সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করি। এই লোকটি (ইমরান খান) আমাদের স্বদেশের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করেছিল।
শনিবার (৯ এপ্রিল) সারাদিন জাতীয় পরিষদের অধিবেশন তিন থেকে চার দফা মুলতবির পর মধ্যরাতে অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পরিষদের ৩৪২ জন সদস্যের মধ্যে ১৭৪ জন সদস্যই ইমরান খানের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে ভোট দেন। পার্লামেন্টে ভোটের সময় ক্ষমতাসীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন না।
বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি শুরুর আগে পদত্যাগ করেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সার ও ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি।
পদত্যাগের আগে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে যান। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টাতেই বসে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের অধিবেশন। কিছুক্ষণ না যেতেই দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তা মুলতবি করা হয়। পুনরায় অধিবেশন বসতে না বসতে আবারও মুলতবি। এভাবে তিন দফা মুলতবি শেষে ইফতারের পর অধিবেশন শুরু হয়।
এদিকে পাকিস্তানের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে সোমবার (১১ এপ্রিল)। দেশটির ভারপ্রাপ্ত স্পিকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভারপ্রাপ্ত স্পিকার আয়াজ সাদিক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থীতার জন্য নমিনেশনপত্র পূরণ করে স্থানীয় সময় রোববার সকাল ১১টার মধ্যে জমা দিতে হবে।
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের আগস্টে। কিন্তু তার আগেই ক্ষমতা ছাড়তে হলো প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের পতন হলো মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই।
Leave a Reply