উইমেন ডেস্ক:: কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি এবং দৈনিক কুষ্টিয়ার খবর পত্রিকার সম্পাদক এ এম জুবায়েদ রিপনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে কুষ্টিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাইমুল ইসলাম ও ক্যাডার বাহিনী।
এসময় সাংবাদিক রিপনসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের মারধর করে কাউন্সিলরের ক্যাডার বাহিনী। হামলায় রিপনসহ তাঁর ভাই এলিন আহত হয়েছেন। বুধবার সকাল ৭টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে নিজ বাড়িতে এই হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিক রিপন ও তার পরিবার। এঘটনায় বুধবার রাতে কাউন্সিলর নাইমুল ইসলামসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩/৪জনকে আসামি কুষ্টিয়া মডেল থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
হামলাকারীদের মধ্যে দুইজনকে শনাক্ত করা গেছে। তারা হলেন শহরের কমলাপুর এলাকার সামসুলের ছেলে মোস্তাক ও জয়ের ছেলে লিমন। শনাক্তকারী দুইজন এলাকার চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় একাধিক সুত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া পৌরসভার মাদকাসক্ত কাউন্সিলর নাইমুল ইসলাম। প্রতি রাঁতে সুইপার কলোনীতে বসে তিনি মাদক সেবন করেন। তাঁর বিরুদ্ধে নেশা করে অসভ্যতা এবং মধ্য রাতে মাতাল অবস্থায় মসজিদের ঈমাম ও ছাত্রদের ধরে মারধরের অভিযোগ রয়েছে। নাইমুলের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীর অভিযোগের শেষ নেই। একাধিক বিয়ে ও ডিভোর্স তাঁর নিত্য দিনের খেলায় পরিণত হয়েছে।
উত্তর কমলাপুরে মাদকসহ পতিতাবৃত্তির অভিযোগ রয়েছে কাউন্সিলর নাইমুলের বিরুদ্ধে। একাধিক নারীর জমি দখলসহ টলি-নসিমন থেকে তাঁর ক্যাডার বাহিনী দিয়ে নিয়মিত চাঁদা তোলেন নাইমুল ইসলাম। বেশ কিছুদিন আগে এলাকায় গরু চুরির ঘটনায় আটক চোর চক্র স্বীকার করেন কাউন্সিলর নাইমুলের নির্দেশে তাঁরা গরু চুর করেছিলেন। এছাড়াও এলাকার মানুষের বিভিন্ন সময় ফাঁদে ফেলে মীমাংসার নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এলাকার মানুষ নাইমুলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। ক্যাডার বাহিনীর ভয়ে এলাকার কেউ নাউমুলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না। নাইমুলের নানা অপকর্মের সংবাদ একাধিবার বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে।
সাংবাদিক রিপন বলেন, শরিকানা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় সালেক মোহাম্মদ কাদেরীর সাথে আমার বিরোধ চলে আসছে। বুধবার ভোরে কাউন্সিলর নাইমুলসহ তাঁর ক্যাডার বাহিনী ভাড়া করে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় নাইমুল ইসলামের নেতৃত্বে তাঁর ক্যাডার বাহিনী বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের মারধর করে বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সন্ত্রাসীরা চলে যায়।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাব্বিরুল আলম বলেন, হামলাকারীদের চিহিৃত করা গেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে ন্যাক্কারজনক এই হামলার বিচার দাবি করে অবিলম্বে নাইমুলসহ তার ক্যাডার বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেছেন কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবসহ সর্বস্তরের সাংবাদিকরা।
Leave a Reply