উইমেন ডেস্ক : কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ১নং ইউনিয়ন কয়া। বিগত বছরের ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাদিয়া জামিল কণা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী হোসেন।
হামলার শিকার যুবলীগ নেতা আশরাফুল আলম
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর অল্প সংখ্যক ভোটে জয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী হোসেন। তারপর থেকেই এই ইউনিয়নে একের পর এক সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, চুরি, লুটপাট, ভাংচুরের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছে।
হামলার শিকার যুবলীগ নেতা আশরাফুল আলম এর স্ত্রী
সম্প্রতি সোমবার (৪ এপ্রিল) কয়া ইউনিয়নের বেড়কালোয়া গ্রামের ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগ সাধারন সম্পাদক আশরাফুল আলম তারাবীর নামাজ পড়ে বাড়ি প্রবেশ করেন। তার কিছুক্ষণ পর সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ একাধিক মামলার আসামী ইয়ারুল, জিয়ার এর নেতৃত্বে ১০/১৫ জন আশরাফুল আলমের বাড়ির ভেতর প্রবেশের চেষ্টা করেন।
বাড়ির গেট ভেতর থেকে লাগনো থাকায় ঘরের পাকা দেওয়াল ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে আশরাফুলকে হত্যার উদ্দেশে এলোপাতারিভাবে কোপাতে শুরু করেন ইয়ারুল-জিয়ার গংরা। এসময় আশরাফুলের স্ত্রী সীমা খাতুন ঠেকাতে গেলে তাকেও কোপ দেয় ওই সন্ত্রাসী গংরা। এতে স্বামী-স্ত্রী দুজন-ই গুরুতর জখম হয়।
বর্তমানে দুজনই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
জানা যায়, যুবলীগ নেতা আশরাফুল আলম গত নির্বাচনে আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাদিয়া জামিল কণার পক্ষে নির্বাচন করার কারণেই তাদের উপর হামলা চালিয়েছে ওই সন্ত্রাসীরা।
Leave a Reply