জেলা প্রতিনিধি, ফরিদপুর : ফরিদপুরের ভাঙ্গায় হাত-মুখ বেঁধে এক বিধবাকে (২৬) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোববার (৩ এপ্রিল) ওই নারী থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা করা হয়। এতে পাঁচ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই নারীর স্বামী কয়েক বছর আগে মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি বাবার বাড়ি উপজেলার খাকান্দা গ্রামে বসবাস করছিলেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। ২৮ মার্চ বিকেলে পার্শ্ববর্তী আলেখারকান্দা গ্রামে চাচাশ্বশুরের কাছ থেকে পাওনা টাকা আনতে শ্বশুরবাড়িতে যান ওই নারী। ওইদিন সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়ির এলাকার দুই যুবক আসাদুল ও আলামিনকে সঙ্গে নিয়ে বাবার বাড়ির দিকে রওনা হন।
পথিমধ্যে তারা আলেখারকান্দা গ্রামের আউড়াবাগ নামক একটি বাগানের কাছে পৌঁছালে ৪-৫ জন যুবক তাদের পথরোধ করেন। এসময় স্থানীয় রুবেল, শাহীন, সজিব, রাকিব, হাসিবুল ধারালো চাকুর ভয় দেখিয়ে আসাদুল ও আলামিনকে মারধর করেন। পরে ওই নারীর হাত ও মুখ বেঁধে পার্শ্ববর্তী একটি নির্জন স্থানে নিয়ে রাতভর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরদিন সকালে বাবার বাড়ি ফিরে গৃহবধূ তার পরিবারের লোকজনকে ঘটনাটি জানান।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. তাহসিন জানান, ওই নারী থানা হেফাজতে রয়েছেন। সোমবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও জবানবন্দি নেওয়ার জন্য ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হবে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, গৃহবধূর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) ফাহিমা কাদের চৌধুরী বলেন, গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এর সত্যতা জানা যাবে। গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
Leave a Reply