উইমেন ডেস্ক:কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান জাতীয় ও বয়সভিত্তিক দলের নিয়মিত মুখ নারী ফুটরলার নিলুফা ইয়াসমিন নিলাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
শনিবার রাতে এক অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়ার নারী বাতায়ন একটি “মৌবন” উদ্যোগ এই সংবর্ধনা প্রদানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে মৌবনের সিইও হাবিবুল আলম, নির্বাহী পরিচালক সাফিনা আঞ্জুম জনী, জেনারেল ম্যানেজার মোশাররাফুল হক বকুল, ম্যানেজার আশিকুজ্জামান রনি, রতন কাজী, এমদাদ হোসেন, সাংবাদিক এসএম জামালসহ মৌবনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও নিলুফা ইয়াসমিন নিলার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মৌবনের সিইও হাবিবুল আলম বলেন, জাতীয় ও বয়সভিত্তিক দলের নিয়মিত মুখ নিলুফা ইয়াসমিন নিলা খাতুন কুষ্টিয়ার সন্তান। তাই তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করে এবং তাদের পাশে দাঁড়িয়ে উৎসাহ প্রদান করে তার পাশে দাঁড়ানো আমাদের উচিৎ।
তিনি আরও বলেন, কুষ্টিয়ায় বেড়ে ওঠা এসব কৃতি খেলোয়াড় আজ জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করছে এটা অবশ্যই আমাদের জেলার জন্য গর্বের বিষয়। তাদের সম্মানিত করা উচিত। যাতে করে ফুটবলের মাধ্যমে তারা দেশের সুনাম বয়ে আনতে পারে। সেই বোধ থেকেই আমরা তাকে সম্মান জানানোর চেষ্টা করেছি মাত্র।
শেখ হাসিনা সরকার ক্রীড়াপ্রেমী সরকার উল্লেখ করে মৌবনের নির্বাহী পরিচালক ও নারী বাতায়ন এর সভানেত্রী সাফিনা আঞ্জুম জনী বলেন, নারী ফুটবলের জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে দেশে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নারীদের ক্রীড়া অঙ্গনে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়েছে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, একজন শিক্ষার্থী তার মেধা অনুশীলন দিয়ে যে বিশ্ব জয় করতে পারে ইয়াসমিন আক্তার তার উদাহরণ। তাকে সংবর্ধনা জানাতে পেরে মৌবন এবং নারী বাতায়ন গর্ববোধ করছে।
সংবর্ধিত হয়ে ইয়াসমিন আক্তার বলেন, আজ আমার আনন্দের দিন। আমার নিজ জেলার এই স্বনামধন্য ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান মৌবন থেকে আমাকে সংবর্ধনা প্রদান করেছে এজন্য আমি গর্বিত।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সাফ অনূর্ধ্ব-১৯নারী চ্যাম্পিয়নশিপে শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে বাংলাদেশি কিশোরিরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলে কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা নিলুফা ইয়াসমিন নীলা অংশ নিয়ে দারুন পারফরম্যন্স দেখায়। বাবা না থাকায় খেলোয়াড়ী ওস্তাদ আহমেদ সায়েদ আল ফাত্তাহই তার অভিভাবক। ধ্যান জ্ঞান সবই তার খেলোয়াড়ী ওস্তাদ আহমেদ সায়েদ আল ফাত্তাহকে নিয়েই। শুধু অভিভবাবকই নয় তার জন্যই আজকের এই নীলা জাতীয় দলে খেলতে পারছেন। দুই বোনের মধ্যে বড় নীলা। ছোটবোনটি এবার চাঁদ সুলতানা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী।
Leave a Reply