1. akmolbangladesh@gmail.com : Press Times :
শিরোনামঃ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ছাত্র মোঃ আলীকে ফুল দিয়ে বরণ প্রত্যেক ঘরে ঘরে ইসলামের দূর্গ গড়ে তুলতে হবে….জেলা জামাতের সেক্রেটারী মোহাম্মদ জহিরুল হক কোরআন বুঝে কোরআন মেনে জীবন পরিচালনার কারনেই আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে আল্লাহ মানুষের মনে জায়গা দিয়েছেন……. সাঈদীর পুত্র শামীম সাঈদী আসন্ন দুর্গাপূজায় পিরোজপুর জেলার ৭ টি উপজেলায় ৪৫৮টি মন্দিরে দুর্গাপূজায় উদযাপনের প্রস্ততি চলছে হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিস্টান যে যেই ধর্মের হোক না কেনো আমাদের মধ্যে সমতা রেখে সমাজকে নতুন করে নির্মান করতে হবে…… আব্দুল মোনায়েম মুন্না বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে সাংবাদিকদের সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাস পিরোজপুরে দায়িত্বরত অধিনায়কের পিরোজপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত পিরোজপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু’র বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপ্রপ্রচারের অভিযোগ পিরোজপুরে বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ীদের সাথে নবাগত জেলা প্রশাসক এর পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা বরিশাল রেঞ্জের নবাগত ডিআইজি পিরোজপুর প্রেসক্লাব পরিদর্শন

রাজশাহীতে ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড

  • আপডেট টাইমঃ বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৫৫ মোট ভিউ

ঢাকা অফিস : রাজশাহীতে ছাত্রলীগ নেতা শাহেন শাহ হত্যা মামলার রায়ে এক সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ২২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ওএইচএম ইলিয়াস হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। এ নিয়ে ১২ বারের মতো পেছানোর পর আজ রাজশাহীর চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১১ নভেম্বর আদালতে এ মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়। এরপর গত বছরের ১০ ডিসেম্বর মামলার রায় ঘোষণার দিন ছিল। সেদিন রায় ঘোষণার দিন পিছিয়েছে ১২ বার।

নিহত শাহেন শাহ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-২ ও এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রজব আলীর ছোট ভাই। ২০১৩ সালের ২৮ আগস্ট দুপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন শাহেন শাহ। শিক্ষানবিশ আইনজীবী শাহিন শাহ রাজশাহী কোর্ট কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
তাকে হত্যার ঘটনায় তার ভাই যুবলীগ নেতা নাহিদ আক্তার নাহান বাদী হয়ে পর দিন নগরীর রাজপাড়া থানায় মামলা করেন। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুনসুর রহমানসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার বাদী রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আক্তার নাহান। নিহত শাহেন শাহ রাজশাহী কোর্ট কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি একজন শিক্ষানবীশ আইনজীবী ছিলেন। মামলায় সাক্ষী ছিলেন ২৪ জন। আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

মোট অভিযুক্ত ৩১ জন : আসামিরা হলেন- বুলনপুর জিয়ানগর এলাকার মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে লাল মোহাম্মদ ওরফে লালু (৩৮), গোবিন্দপুর পূর্ব রায়পাড়া এলাকার মৃত মেহের চান কশাইয়ের ছেলে মুনসুর রহমান (৪৫), মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে হাসানুজ্জামান হিমেল (৩৮) ও তৌফিকুল ইসলাম চাঁদ (৪৫); গিয়াস উদ্দিন ওরফে গিসুর ছেলে মো. মহাসীন (৫০) ও মাহাবুল হোসেন (৪২); মৃত তাজু শেখের ছেলে সাত্তার (৪৫), মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে মো. সাইরুল (২৬), মৃত আজিম আলীর ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (৩৮), মৃত ঝাড়ু শেখের ছেলে বখতিয়ার আলম রানা ওরফে রংলাল (৩৫) ও হাসান আলী (৩২), মৃত লিয়াকত মণ্ডলের ছেলে মাসুদ (৩৫), নুহু শেখের ছেলে রজব (৩২), মৃত তাইদের ছেলে রাসেল (৩২), ইমদাদুল হকের ছেলে রাজা (৩২), মজিবর রহমানের ছেলে মর্তুজা (৩০), মো. মোস্তফার ছেলে সুমন (৩০), মৃত আক্কাস আলীর ছেলে বিপ্লব (৩৫), গুড়িপাড়া এলাকার মো. মহাসীনের ছেলে আসাদুল (২২) ও আখতারুল (২৫); মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে জইদুর রহমান (৪৮), মৃত গোলাপ শেখের ছেলে ফরমান আলী (৪০), মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে জয়নাল আবেদিন (২৫), রেজাউল করিমের ছেলে রাজু আহমেদ (২৮), মৃত মাজদার আলীর ছেলে আকবর আলী (৪৫), মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে সম্রাট হোসেন (১৯), ওয়াজেদ আলীর ছেলে টিয়া আলম (৩০)।

পলাতক রয়েছেন : গুড়িপাড়া এলাকার গোলশের কশাইয়ের ছেলে মো. মমিন (৩০), মৃত আজম আলীর ছেলে আজাদ হোসেন (৩৫), মৃত ওয়াহেদ কশাইয়ের ছেলে মো. মাসুম (২৬) এবং আব্দুস সামাদের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৬)।

ঘটনার বিবরণে মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের এক নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন নিহত শাহেন শাহর বড় ভাই রজব আলী। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন বিএনপি নেতা মুনসুর রহমান। নির্বাচনে মুনসুর রহমান নির্বাচিত হন। নির্বাচন চলাকালে মুনসুর রহমান আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন। এ নিয়ে রজব আলী ও ছাত্রলীগ নেতা শাহেন শাহ নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেন। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে মুনসুর রহমান ঘোষণা দেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ার সাধ নির্বাচনের পরই মেটানো হবে। এর জের ধরে ২০১৩ সালের ২৭ আগস্ট মুনসুর ও তার সমর্থকেরা রজব আলীর মালিকানাধীন রজব অ্যান্ড ব্রাদার্সের গুদাম ঘর ও ব্যক্তিগত কার্যালয় ভাঙচুর করেন। এছাড়া শহীদ কামারুজ্জামান স্মৃতি সংঘ ভাঙচুর করে তাদের বাড়িতে আক্রমণ করা হয়। রজবসহ তার ভাইদের খুঁজে না পেয়ে হামলাকারীরা ঘোষণা দেন তাদের যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই হত্যা করা হবে।

পরদিন ২৮ আগস্ট গুড়িপাড়া সাকিনের ক্লাব মোড়ে শাহেন শাহকে পেয়ে আসামিরা তাকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তার কাছে থাকা মোটরসাইকেলটিও ভাঙচুর করা হয়। এরপর পিস্তলের ফাঁকা গুলি করতে করতে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা শাহেন শাহকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ নিয়ে নিহতের ভাই নাহিদ আক্তার নাহান বাদী হয়ে ২৯ আগস্ট নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও পড়ুনঃ
© All rights reserved © 2021 | Powered By Uttoron Host
Site Customized By NewsTech.Com