উইমেন ডেস্ক: রোববার, ০৩ অক্টোবর ২০২১, ১৯ আশ্বিন ১৪২৮ |
রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার ৪জনের মধ্যে ২জনের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।রোববার (৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় উখিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক হাকিম তামান্না ফারাহ শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুরের আদেশ দেন।
এর আগে শনিবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তাদের ২জনকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন-কুতুপালং ক্যাম্পের সি ব্লকের বাসিন্দা নুর বশরের ছেলে সেলিম উল্লাহ ওরফে লম্বা সেলিম (২৭) ও মধুরছড়া তিন নম্বর ক্যাম্পের ডি-১৫ ব্লকের রহিম উল্লাহর ছেলে শওকত উল্লাহ (২৫)।
কক্সবাজার আদালত পুলিশের পরিদর্শক চন্দন কুমার সরকার জানান, রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় উখিয়া থানা পুলিশ এবং ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পুলিশ (এপিবিএন) শনিবার ভোররাতে এবং শুক্রবার সকাল ও দুপুরে অভিযান চালিয়ে জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করে। তাদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতার দেখিয়ে শওকত উল্লাহ ও লম্বা সেলিমকে শনিবার বিকালে আদালতে পাঠানো হয়।
এসময় তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে বিচারক শুনানির জন্য রোববার দিন ধার্য করেন। পরে রোববার শুনানি শেষে আদালত ২জনকে ৩দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা গেছে, শনিবার ভোররাতে ১৪ এপিবিএন এর সদস্যরা বিভিন্ন ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আব্দুস সালাম (৩২) ও জিয়াউর রহমান (৩০) কে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। তাদের মধ্যে আব্দুস সালামকে লম্বাশিয়া ১-ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এবং জিয়াউর রহমানকে কুতুপালং ৮-ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) কার্তিক চন্দ্র পাল জানান, রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।মাস্টার মুহিবুল্লাহ (৫০) আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি পিস ফর হিউম্যান রাইটস নামে একটি সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন।
গত বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে কুতুপালং ক্যাম্পের লম্বাশিয়ায় তাকে গুলি করেহত্যা করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ।
Leave a Reply