সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারে অনুকরণীয় বাংলাদেশ
সারাবিশ্বে শুধু বাংলাদেশেই আছে বৃহত্তম সোলার পাওয়ার প্রকল্প। বাংলাদেশ সুলভ মূল্যে ক্লিন এনার্জি জনগণকে দিচ্ছে, যা অন্য দেশের জন্য অনুকরণীয়। দেশের সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।
লিভিং ইন দ্যা লাইট-দ্যা বাংলাদেশ সোলার হোম সিস্টেম স্টোরি বইটি বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) প্রকাশিত হয়েছে। ভার্চুয়াল বৈঠকে বইটির উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বইটিতে বিস্তারিত বলা হয়েছে, কীভাবে ২০০৩ সালে গ্রামাঞ্চলের মাত্র ৫০ হাজার পরিবারকে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের ব্যবস্থা করে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
এ উপলক্ষে অনলাইনে আয়োজিত বৈঠকে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, বাংলাদেশ অভিনব এ উদ্যোগের জন্য বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত। ক্লিন এনার্জি মানে স্বাস্থ্য সুরক্ষা, জীবনমানের উন্নয়ন, শিশু শিক্ষা নিশ্চিত করা। সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে যাবে। বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্পে সহায়তা করছে ইডকলকে। ইডকল দেশের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা আর ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিয়ে সৌর বিদ্যৎ পৌঁছে দিচ্ছে ঘরে ঘরে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সারাদেশে বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিত করতে সৌরবিদ্যুতের বিকল্প নেই। মুজিববর্ষে সারাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে ৯৬ লাখ টন কার্বন নিঃসরণ কমেছে। ৪৪০ কোটি লিটার কেরোসিনের ব্যবহার কমেছে। ৫৮টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহ ও ব্যবহার করছে।
Leave a Reply