উইমেন ডেস্ক:মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ৬ আশ্বিন ১৪২৮ |
কুষ্টিয়াতে সবজি উৎপাদনেও ব্যাপক সুনাম রয়েছে। তবে সবজির খুচরা বাজারে আগুন থাকলেও উৎপাদিত সবজির দাম পাচ্ছে না কৃষকরা। পাইকারি থেকে খুচরা বাজারে সবজির দামের পার্থক্য কেজিতে ২৫ থেকে ৩০ টাকা।
কুষ্টিয়ার সবজি জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় যায়। আবহাওয়া এবং মাটির গুণাগুণের কারণে প্রায় সব ধরনের সবজি এই এলাকায় আবাদ হয়। কিন্তু উৎপাদিত সবজির সঠিক দাম না পেয়ে হতাশ এখানকার কৃষকরা। তবে পাইকারি বাজার থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরের কুষ্টিয়ার খুচরা বাজারে সবজির দামের পার্থক্য দেখা যায় কেজিতে ২৫-৩০ টাকা করে। উৎপাদন করে ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না কৃষকরা।
কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকার মাঠের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের উৎপাদিত ফসল আড়তে নিলে দামই দিতে চায় না আড়তদাররা। যার ফলে লোকসান হয়। সবজি আবাদের অনীহা প্রকাশ করছে তারা। কিন্তু সেই সবজি আবার খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। এতে কৃষকদের মাথায় হাত বুলিয়ে লাভবান হচ্ছে ফড়িয়া ব্যাপারিরা। আর সাধারণ ক্রেতারা ওই সব কাঁচা সবজি কিনতে গিয়ে দিশেহারা।
কুষ্টিয়ার উজান গ্রাম পাইকারি বাজারে বেগুন প্রকার ভেদে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সেই বেগুন কুষ্টিয়ার বিভিন্ন খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে। ৪০ টাকার কাঁচামরিচ ৭০ টাকায়, ১০ টাকার কচু ২০ টাকায়, ৫ টাকার পেঁপে ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। উজান গ্রাম থেকে কুষ্টিয়া শহরের দূরত্ব মাত্র ৯ কিলোমিটার আর এই ৯ কিলোমিটার দূরেই কেজি প্রতি বিভিন্ন ধরনের সবজির দামের পার্থক্য কেজিতে ২৫-৩০ টাকা। আবার এ নিয়ে কথা বলতে গেলে গণমাধ্যম কর্মীদের সঠিক তথ্যও দিতে চান না ব্যাপারিরা। তবে ক্রেতারা বলছে মাঠ থেকে খুচরা বাজার পর্যন্ত সঠিকভাবে মনিটরিং না করার কারণেই বাজারের এই অস্থিরতা। বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠ প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ দাবী করেন তারা।
কুষ্টিয়ার মিরপুরের খুচরা সবজি বিক্রেতা নাঈম খন্দকার বলছেন, আমরা ব্যাপারি এবং পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যে দামে সবজি কিনি সেই দাম অনুযায়ী বিক্রি করি। দাম বাড়ানোর কারসাজি ব্যাপারি, আড়তদার এবং পাইকারি ব্যাপারিরা করে থাকেন।
এদিকে কুষ্টিয়া জেলা সিনিয়র বিপণন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেছেন, কৃষি পণ্য উৎপাদিত কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত বিক্রয়ের মাঝে যে মূল্যের ফাঁক রয়েছে তা আগের থেকে অনেকটাই কমিয়ে আনা হয়েছে। মূলত ব্যাপারি, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা এই সুযোগ নিয়ে থাকে। তবে আমাদের নিয়মিত বাজার মনিটরিং এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত আছে। আশা করছি খুব দ্রুতই যেটুকু সমস্যা আছে তা সমাধান হয়ে যাবে।
Leave a Reply