কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৮ম শ্রেনির ছাত্রীকে দীর্ঘদিন যাবত উত্যক্ত করায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে ঐ ছাত্রী। সোমবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে আত্মহত্যার চেষ্টা কালে তাকে উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখা হয়। ঘটনার পর থেকেই উত্যক্তকারী পলাতক রয়েছে। ভুক্তভোগীর বাবা সুবিচারের আশায় বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দরখাস্ত দিয়েছেন বলে জানা গেছে ।
উত্যক্তকারী জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হাসিমপুর গ্রামের মৃত মফিজউদ্দিনের ছেলে লালন (৪০)।
ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর বাবা জানান, লালনের দুটি স্ত্রী এবং তিনটি মেয়ে রয়েছে। সে মধ্যবয়সী মানুষ হয়ে তার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে ১ বছর যাবত বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করলেও তার মেয়ে কখনো তাকে জানায়নি। সোমবার আত্মহত্যার চেষ্টাকালে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে একটু সুস্থ হবার পর জানায় আত্মহত্যার চেষ্টার কারন। তিনি বলেন লালনের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। তিনি সুবিচারের আশায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দরখাস্ত দিয়েছেন।
উত্যক্তকারী লালনের বড় ভাই আব্দুল খালেক জানান, তার ভাই মোটেও ভালো কাজ করে নাই। মেয়ের বয়সী একজনকে উত্যক্ত করে তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেবার অপরাধে শাস্তি দাবী করেন।
ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রী জানায়, লালন দীর্ঘদিন যাবত তাকে উত্যক্ত করে এবং ঘটনার দিন লালনের স্ত্রী এসে উল্টাপাল্টা কথা বলার কারনে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মজিবুর রহমান জানান, এখনো কোন দরখাস্ত ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply