1. akmolbangladesh@gmail.com : Press Times :
শিরোনামঃ
পিরোজপুরে পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের fআয়োজনে ছাত্র আন্দোলনে আহত ও শহীদের স্মরণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত বৈষম্যহীন ও জবাবদিহিতামূলক বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষার্থীদের সাথে তথ্য অফিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত অধস্তন আদালতের কর্মচারীদের ২ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশনের আয়োজনে পিরোজপুরে জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত পিরোজপুরে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর আয়োজনে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত  পিরোজপুরে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের শ্রমিক সমাবেশে ৬ ছাত্রদল নেতার শ্রমিকদলে যোগদান পিরোজপুরে সাংবাদিকদের সাথে পুলিশ সুপারের  মতবিনিময় সভা নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পিরোজপুরে যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত পিরোজপুর সরকারি মহিলা কলেজের সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো: রফিকুল ইসলাম কে ফুলেল শুভেচ্ছা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ছাত্র মোঃ আলীকে ফুল দিয়ে বরণ প্রত্যেক ঘরে ঘরে ইসলামের দূর্গ গড়ে তুলতে হবে….জেলা জামাতের সেক্রেটারী মোহাম্মদ জহিরুল হক

বঙ্গবন্ধুর এ আত্মত্যাগ কখনো বৃথা যেতে পারে না, প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট টাইমঃ বুধবার, ১৮ আগস্ট, ২০২১
  • ১২০ মোট ভিউ
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর এ আত্মত্যাগ কখনো বৃথা যেতে পারে না। তিনি বলেন-এ দেশের মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধু রক্ত দিয়ে গেছেন। তিনি আমাদের রক্তের ঋণে আবদ্ধ করে গেছেন। আমাদের একটাই লক্ষ্য- তার এ রক্তের ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে। বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সেই প্রতিজ্ঞায় তার আদর্শ নিয়েই আমাদের পথচলা। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি নিবেদিত ‘শোক থেকে শক্তি, শোক থেকে জাগরণ’ শীর্ষক ওই আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। তারানা হালিমের সঞ্চালনায় আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ দিনটি (১৫ আগস্ট) আমাদের জন্য শোকের দিন, কষ্টের দিন। কিন্তু সব থেকে বড় কথা হলো বাঙালি জাতির জন্য সব হারানোর দিন, শোকের দিন।’তিনি বলেন- ‘আমি সব হারিয়েছি। আমি জানি হারানোর বেদনা খুব কষ্টকর। সেই কষ্ট সহ্য করে একটা লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। সেই শোককে শক্তিতে পরিণত করে এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই লক্ষ্য।’বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, এই বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব। যে দেশের স্বপ্ন আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে, ইনশাআল্লাহ। সরকারপ্রধান বলেন, ‘যে বাংলাদেশকে জাতির পিতা স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে রেখে গিয়েছিলেন আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৭ ডলারে উন্নীত হয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে একটা মর্যাদা পেয়েছে, দারিদ্র্যের হার আমরা হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছি। যেখানে ৪৫ ভাগ ছিল সেখানে আমরা ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছি। মানুষের গড় আয়ু ৭২ বছরে উন্নীত হয়েছে।’তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, এ দেশে একটি মানুষও দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত থাকবে না। একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না। জাতির পিতা গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের মাধ্যমে ভূমিহীন মানুষের জন্য খাসজমি বিতরণ করে ঘর তৈরি করে দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছিলেন। আমরা তার জন্মশতবার্ষিকীতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না। আমরা সেইভাবে গৃহনির্মাণ করে দিচ্ছি ঘরহারা মানুষের। চিকিৎসাসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি। শিক্ষার আলো আজকে ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। প্রায় ৭৪ ভাগ মানুষ এখন সাক্ষরতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ আজকে সারাবিশ্বের কাছে উন্নয়নের বিস্ময়; অনুষ্ঠানে শোষিত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রাম এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন-মাত্র সাড়ে তিন বছর হাতে সময় পেয়েছেন। এত স্বল্প সময়ের মধ্যে একটা বিধ্বস্ত দেশকে যেমন গড়ে তোলা, পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করা, তিনি সেটা খুব সফলভাবে করে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করেছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন-অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে তিনি যে কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন সেটা যদি বাস্তবায়ন করে যেতে পারতেন, তাহলে বাংলার মানুষ তার গণতান্ত্রিক অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে পারত। ক্ষুধা-দারিদ্র্য থেকে উন্নত জীবন পেতে পারত। কিন্তু ঘাতকের দল সেটা হতে দেয়নি। যারা স্বাধীনতা চায়নি, যারা বাঙালির বিজয় চায়নি, তারাই নির্মমভাবে তাকে হত্যা করে। কিছু লোক তো বেঈমানিও করে, মুনাফেকি করে। এটাই হচ্ছে আমাদের জন্য সব থেকে দুর্ভাগ্যের।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও পড়ুনঃ
© All rights reserved © 2021 | Powered By Uttoron Host
Site Customized By NewsTech.Com