উইমেন ডেস্ক : গত ৫ জানুয়ারী ২০২২ ইং তারিখে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন সহ সারাদেশে ৭০৭ ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরই অংশ হিসেবে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১নং হাটশ হরিপুর ইউনিয়নেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ওইদিন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা করেন ৭ জন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে। মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এম মুস্তাক হোসেন মাসুদ ও আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আব্দুর রশিদ। ৮৮৮৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেন এম মুস্তাক হোসেন মাসুদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আব্দুর রশিদ পান ৮২৯৬ ভোট। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে কুষ্টিয়া সদর ও কুমারখারী উপজেলার বিজয়ী ইউপি চেয়ারম্যানদের শপথ পাঠ করান কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
এদিকে এই নির্বাচন ভূয়া, তঞ্চকী ও বাতিল ঘোষণা মর্মে কুষ্টিয়ার বিজ্ঞ নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল আদালত ও সদর সহকারী জজ আদালতে মামলা করেছেন নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী মো. আব্দুর রশিদ। নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল কেস নং- ১৭/২০২২। মামলার প্রতিপক্ষ ১৮ জন। ১নং প্রতিপক্ষ কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোঃ সহিদুর রহমান। এছাড়া ১১টি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারগণ সহ নির্বাচনে প্রার্থীতা করা এম মুস্তাক হোসেন মাসুদ, মুফতি মাহফুজুর রহমান, মোঃ হাসান আলী, হাসিবুর রহমান রিজু, এম সম্পা মাহমুদ ও জেলা নির্বাচন অফিসার এ মামলার প্রতিপক্ষ।
আদালতে দায়েরকৃত দরখাস্তে বাদী উল্লেখ করেন, ১নং হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের অধীন হাটশ হরিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩নং মহানগর প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাটশ হরিপুর সরকারী এফতেদায়ী ফুরকানিয়া মাদ্রাসা, পুরাতন কুষ্টিয়া সরকারী বালিকা বিদ্যালয়, হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, শালদাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রগুলো ১৩নং প্রতিপক্ষ এম মোস্তাক হোসেন মাসুদ এর বাড়ীর নিকটতম কেন্দ্র। প্রিজাইডিং অফিসারদের সাথে ষড়যন্ত্র করে এসমস্ত কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করে ১৩ নং প্রতিপক্ষ। বাদীর অভিযোগ, তার প্রাপ্ত ভোটের ১৫৬২ ভোট কম দেখিয়ে ৫৯০ ভোটে তাকে পরাজিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আগামী ১৪ মার্চ আদালত প্রতিপক্ষদের কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়ে আদালতে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।
Leave a Reply