বিকল আনুমানিক ৪ টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং সি ব্লক দক্ষিণপাড়া বস্তিতে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন সাবেক কাউন্সিলর প্রার্থী হাসান মন্ডল (৩০)। ঘটনার শিকার হাসান ইতিমধ্যে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। এজাহার নিম্নে হুবহু তুলে ধরা হল।
আমি কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং সি ব্লকের দক্ষিণপাড়া বসতি এলাকার মৃত কাশেম মন্ডলের ছেলে হাসান মন্ডল (৩০)। এই মর্মে আপনার থানায় এজাহার দায়ের করিতেছি যে, আসামী কুষ্টিয়া হাউজিং সি ব্লকের আব্দুল জব্বারের ছেলে ইমরান পারভেজ, মৃত ছলেমানের ছেলে সজীব (২২), শামসুল হকের ছেলে সৈকত (২৮), ও পিতা-অজ্ঞাত তুর্য (২৫) সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন অদ্য ৭ মে ২০২১ ইং তারিখ বিকাল ৪ টার সময় আমি আমার নিজ বাড়ীর সামনে বাগানের মধ্যে ঘুমানাে অবস্থায় হঠাৎ করে উক্ত আসামীগন অবৈধ ভাবে অস্ত্রসহ আমার বাড়ীর সামনে প্রবেশ করে আমাকে মােবাইল ফোন দ্বারা ভিডিও করতে থাকে এবং স্টীল ছবি তুলে আমি তক্ষনিক ঘুম ভেঙ্গে উঠে উক্ত আসামীদের কারন জানতে চাইলে ১নং আসামী হুকুম দিয়া বলে শালাকে আজ হত্যা করবাে। এই বলে সকল আসামীগন আমাকে লােহার রড এবং বাঁশের লাঠি দিয়া এলোপাতদারী ভাবে মারধর করতে থাকে তাতে আমার সমস্ত শরীলে কালশিরা জখম প্রাপ্ত করে । আমি তখন দৌড় দেওয়ার চেষ্টা করলে ৩নং আসামী আমাকে হত্যা করার জন্য অবৈধ পিস্তল উচু করে আমাকে গুলি করার জন্য তারা করে। আমি তখন দৌড় দিয়া প্রান রক্ষা করি। অত:পর আসামীগন হুমকি দেয় তােকে আজ নয় কাল হত্যা করবে তাতে কেউ ঠেকাতে পারবে না। এরপর আমার শাের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে উক্ত আসামীদের ধরে আমার বাড়ীর মধ্যে নেওয়ার চেষ্টা কালে আসামীগন সেখানে অবৈধ অস্ত্র উচু করে ভয় প্রদর্শন করে স্থান ত্যাগ করে এবং হুমকি দেয় আমাকেসহ আমার পরিবারের সবাইকে হত্যা করবে তাতে কেউ ঠেকাতে পারবে না। এমতাবস্থায় আপনার থানায় একটি এজাহার দায়ের করতে ইচ্ছুক। উল্লেখ্য যে উক্ত আসামীদের ভয়ে আমি ও আমার পরিবারবর্গ জীবন নিরাপত্তাহীনতায় ভােগিতেছি। এছাড়া উক্ত আসামীগন ইতিপুর্বে ও আমাকে কয়েক বার হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে এবং আসামীগন এলাকার মধ্যে মাদক বিক্রয় করে।
এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করে দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন হাসান।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঘটনা হুবহু সত্য। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন হাসান। গত নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কারণে এর আগেও একবার হাসান হামলার শিকার হয়েছিল। সেই একই কারণে আবারও হামলার শিকার হয়েছেন তিনি বলে ধারণা করছে এলাকাবাসীরা। স্থানীয় কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম নজু জানান, বস্তির বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শওকত কবীর জানান, আমি মাননীয় এমপি মহোদয়ের প্রোটেকশনে ছিলাম। বিষয়টি আমি জানি না। সেখানে পুলিশ রয়েছে বললে তিনি বলেন তাহলে কোন কিছু হতে পারে।
Leave a Reply