উইমেন ডেস্ক: রাষ্ট্রদ্রোহ ও সাইবার অপরাধে ভিপি নূর,রেজা কিবরিয়া এবং গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন শাহবাগ থানায় এই ৩ জনের প্রত্যক্ষ নির্দেশ ও মদদে সাম্পদায়িক হামলার মাধ্যমে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক অপরাধ সংঘটিত হয়েছে মনে করে এজাহার দায়ের করেন তিনি।
এজাহারে মামুন লিখেন, দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে দেখতে পাই, বিগত ১৫ই অক্টোবর, ২০২১ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিজয়া দশমীর পুজা উৎসবে বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদ নামক জঙ্গি ও সাম্প্রদায়িক সংগঠনের স্থানীয় কতিপয় নেতা বিএনপি-জামায়াতের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে নূরুল হক নূর ও রেজা কিবরিয়ার নির্দেশে জেএমসেন হল সহ বিভিন্ন পূজা মন্ডপে হামলা চালায়। যাদের কেউ কেউ পরবর্তীতে গ্রেপ্তার হয়।
উক্ত ঘটনার পরপরই এবং অতীতে বিভিন্ন সময়ে যুব অধিকার পরিষদ এর যুগ্ম আহবায়ক তারেক রহমান ফেসবুকে লাইভ করে উক্ত ঘটনা অস্বীকার করে বলে যে, ঊহা ২০২০ সালের সিসিটিভি ফুটেজ। একই সাথে উক্ত ঘটনার আগে ও পরে লাইভ করে বলে যে, কোন দেশ যদি থাকে বিশ্বে ১ নং চিটিংবাজ তা হলো ভারত, যারা নিজেদের কোন আর্দশ নেই, এথিকাল পয়েন্ট নেই, এর সঙ্গে ও লাগাই, এ ওর স্ঙ্গে লাগাই, ধর্ম গ্রন্থ নয়, যেন চটি গ্রন্থ এইগুলা।
উক্ত রূপ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তারেক রহমান বাংলাদেশের মধ্যে ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টি করে ও উসকানি দিয়ে কুমিল্লা, চট্টগ্রামস্হ সারা দেশে মন্দীর হামলায় বিএনপি জামায়াতের কর্মীদের উসকে দিয়ে রাষ্ট্রের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বৈধ সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) পল্টন জামান টাওয়ারে গণ অধিকার পরিষদের আহবায়ক নিষিদ্ধ সংগঠন জামাতের সঙ্গে জোট করে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র করার ঘোষণা দিয়েছেন যা দেশের প্রচলিত আইন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। এছাড়াও নূরুল হক নূর চট্টগ্রামের জে এম সেন হলের পূজামন্ডপে হামলাকারীদের নিরপরাধ বলে বক্তব্য দিয়েছেন যা সাম্পদায়িক হামলাকে উসকে দেওয়ার শামিল।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালের হিন্দু সংখ্যালঘুদের মন্দীরে হামলা, ভাঙচুরের নির্দেশ গোপনে নুরুল হক নূর, রেজা কিবরিয়া ও তারেক রহমান গং এর প্রত্যক্ষ নির্দেশ ও মদদে সম্পন্ন করায় এই ৩ জন আসামি সাম্পদায়িক হামলার মাধ্যমে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক অপরাধ সংঘটিত করেছে বিধায় মামলা রুজু করা আবশ্যক।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো মওদুদ হাওলাদার বলেন, যেহেতু এখানে বিষয়টা সাইবার নিরাপত্তার সাথে সংশ্লিষ্ট তাই তারা মামলা করতে চাইলেও আমরা এজাহার নিয়ে সেটা সাইবার নিরাপত্তা বিভাগে পাঠিয়ে দেই। পরবর্তীতে রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা মামলার প্রয়োজন হলে মামলা রুজু করব।
Leave a Reply