উইমেন ডেস্ক : কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ সহ ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন উদ্দেশ্য প্রণোদিত ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় কুষ্টিয়ার বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেটস্থ জেলা আওয়ামী লীগের সভাকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ। ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পর্কে বক্তব্য দেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ বলেন, কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগ জঙ্গীবাদ, মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে একটি শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছে এই জেলায়। যে কারণে সংগঠনের মধ্যে ঘাপটে মেরে থাকা জনৈক একজন নারীকে পুঁজি করে তাকে দিয়ে সংগঠনের পদধারী নেতৃবৃন্দকে নানাভাবে হেনস্থা করার ষড়যন্ত্র করছে। আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন যখন ছাত্রদলের ক্যাডাররা আগ্নেয়াস্ত্রসহ পুলিশের হাতে একের পর এক আটক হচ্ছে ঠিক তখনই ছাত্রলীগকে দুর্বল করার লক্ষ্যে চক্রটি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। জেলা ছাত্রলীগের পদধারী ঐ নারী যদি তার কোন অভিযোগ থাকে তা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলীয় ফেরামে উত্থাপন না করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে যাওয়া এটি দুরভিসন্ধীমূলক আচরণ ছাড়া আর কিছু নয়।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ বলেন, জাতির শোকের মাস আগষ্টে নিজের জন্মদিন কেক কেটে পালন করার কারণে আগামী সভায় আমরা ওই নারী নেত্রীকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি জেনেই সে পরিবেশ ঘোলা করার জন্য এরকম মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে এ নেতা আরো বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কুষ্টিয়া জেলা শাখার কমিটি পূর্ণাজ্ঞ করার কাজ যখন করছিলাম তখনি যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে উক্ত মেয়ের বিরুদ্ধে স্থানীয় আওয়ামী লীগ থেকে বিস্তর অভিযোগ পেয়েছিলাম। বিয়ে করে মামলা দিয়ে জোর করে অর্থ আদায়, অনৈতিক কাজের সাথে সম্পৃক্ততা। যার প্রেক্ষিতে প্রস্তাবিত ১৫১ সদস্য বিশিষ্ঠ জেলা কমিটিতে তার নাম দেয়নি। এতোগুলো সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের সাথে সম্পৃক্ততার কথা জানতে পেরে আমরা কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক তাকে ছাত্রলীগের রাজনীতি না করে অন্য কোন সংগঠন করার জন্যে জানিয়েছিলাম।
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী ওই নারী নেত্রী সম্পর্কে শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ আরো বলেন, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে আমরা অবহিত হই, মেয়েটি বিবাহিত, অনেকের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক ও মাদকের সাথে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এছাড়াও ছাত্রলীগের জেলা কমিটি পূর্ণাজ্ঞ হওয়ার পরেই বিভিন্ন সময়ে নারীনেত্রীদের লাঞ্চিতসহ ছাত্রী বিষয়ক উপ-সম্পাদককে প্রাণনাশের হুমকি ও লাঞ্চিত করার লিখিত অভিযোগ উঠে ওই কথিত নারী নেত্রীর বিরুদ্ধে।
ছাত্রলীগের এ নেতা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ থানায় করেছে তা যাচাই বাছাই করে আপনারা সত্যের পক্ষে থাকবেন।
এসময় ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও কুষ্টিয়ায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ সহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের এক নারী নেত্রীকে কুপ্রস্তাব ও শালীনতাহানির অভিযোগ এনে কুষ্টিয়া মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী নেত্রী। এরপর থেকেই এ বিষয় নিয়ে কুষ্টিয়া জুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
Leave a Reply