স্পোর্টস ডেস্ক: দলগত পারফরম্যান্সের দারুণ এক প্রদর্শনী করলো ব্রাজিল ফুটবল দল। তিউনিশিয়ার বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৫-১ গোলের দারুণ এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লেন রাফিনহা-নেইমাররা। এ নিয়ে টানা সাতটি ম্যাচ জিতলো সেলেসাওরা।
এবার ফিফা আন্তর্জাতিক বিরতির প্রথম ম্যাচে ঘানাকে ৩-০ হারিয়েছিল ব্রাজিল। মঙ্গলবার রাতের ম্যাচে তিউনিশিয়াকেও হারিয়ে টানা সপ্তম জয় নিয়েই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারলো পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। তবে সবমিলিয়ে টানা ১৫ ম্যাচ ধরে অপরাজিত রয়েছে তিতের দল।
তিউনিশিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের জয়ে জোড়া গোল করেছেন রাফিনহা। আগের ম্যাচে দুইবার স্কোরশিটে নাম তোলা রিচার্লিসন এ ম্যাচেও করেছেন এক গোল। অন্য দুই গোলে নিজেদের নাম লিখিয়েছেন নেইমার জুনিয়র ও পেদ্রো। তিউনিশিয়ার একমাত্র গোলদাতা মোন্তাসির তালবি।
ফ্রান্সের প্যারিস সেইন্ট জার্মেই হোমগ্রাউন্ডে ম্যাচের প্রথমার্ধেই চার গোল করে ফেলে ব্রাজিল। পরে দ্বিতীয়ার্ধে আরও এক গোল করে ৫-১ গোলের বড় জয় নিশ্চিত করে তারা। পুরো ম্যাচে অবশ্য ১০টি শট লক্ষ্য বরাবর রেখেছিল সেলেসাওরা। কিন্তু বাকি পাঁচটিতে মেলেনি গোলের দেখা।
ম্যাচের ১১ মিনিটেই দলকে লিড এনে দেন রাফিনহা। মাঝমাঠ থেকে উঁচু করে বল এগিয়ে দিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার ক্যাসেমিরো। লাফিয়ে ওঠা হেডে সেটিকে জালে পাঠান বার্সেলোনার তারকা রাফিনহা। ক্লাবে চির প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও দেশের হয়ে এক থাকার বার্তাই যেন দেন ক্যাসেমিরো-রাফিনহা।
এই লিড অবশ্য বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ব্রাজিল। ম্যাচের ১৮ মিনিটে সতীর্থে ফ্রি-কিকে হেড করে স্কোরলাইনে সমতা আনেন তালবি। তবে ফের এগিয়ে যেতেও সময় লাগেনি নেইমারদের। এক মিনিট পরই রাফিনহার পাস ধরে ফের দলকে এগিয়ে দেন রিচার্লিসন।
এর মিনিট দশেকের মধ্যে ফের গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যায় ব্রাজিল। ডি-বক্সের মধ্যে ক্যাসেমিরোকে পেছন থেকে টেনে ফেলে দেন তিউনিশিয়ার ডিফেন্ডার। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে গোল করেন নেইমার। জাতীয় দলের হয়ে এটি তার ৭৫তম গোল।
বিরতির আগে ৪০ মিনিটে গিয়ে স্কোরলাইন ৪-১ করেন রাফিনহা। প্রথমার্ধেই চার গোল হজম করা তিউনিশিয়ার জন্য আরও বড় ধাক্কা হয়ে আসে ৪২ মিনিটের সময় ডাইলান ব্রনের লাল কার্ড। এসময় হওয়া মারামারিতে অবশ্য রিচার্লিসনও দেখেন হলুদ কার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা সময় দশজন নিয়েই খেলতে হয় তিউনিশিয়াকে। তবু সেই সুযোগ তেমন কাজে লাগাতে পারেনি ব্রাজিল। দ্বিতীয়ার্ধে তারা করতে পেরেছে মাত্র একটি গোল। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে বদলি হিসেবে নামা পেদ্রো দলের পঞ্চম ও শেষ গোলটি করেন।
Leave a Reply