ক্রীড়া ডেস্ক: হঠাৎ বৃষ্টিতে থেমে গেলো অনুশীলন, গুটিয়ে নেওয়া হচ্ছিলো নেট, বৃষ্টির পানি থেকে বাঁচতে ডাগআউট-ড্রেসিংরুমে ফিরে যাচ্ছিলেন খেলোয়াড়রা। একটি নেটে তখনও চলছিল ব্যাটিং, পুরো নেট গুটিয়ে নেওয়ার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চালিয়ে গেলেন অনুশীলন!
সেই নেটে ছিলেন সাকিব আল হাসান। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় যিনি ছিটকে গিয়েছিলেন সিরিজের প্রথম টেস্ট থেকে। তবে নতুন করে করানো পরীক্ষায় নেগেটিভ হয়েই যোগ দিয়েছেন দলের সঙ্গে, প্রথম টেস্টে খেলতে অনুশীলনেও মরিয়া চেষ্টা দেখা গেলো তার মধ্যে।
পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, সকাল ১০টার কিছু আগে জহুর আগমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন শুরু করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এসে, আজ সকালে দলের সঙ্গেই অনুশীলনে চলে আসেন সাকিব।
সাগরিকায় মাঠে ফেরার লড়াইয়ে প্রায় ৪০ মিনিট নেট সেশন করেছেন তিনি। এরআগে খানিক সময় নিয়ে দেখেছেন প্রথম ম্যাচের উইকেট, কথা বলেছেন হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর সঙ্গে। পরে একগাদা স্পিনারের সঙ্গে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও দুজন থ্রোয়ারকে নিয়ে টানা ব্যাটিং অনুশীলন করেন সাকিব।
কখনও পুরোপুরি টেস্ট মেজাজে আলতো করে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে, আবার কখনও স্কয়ার কাট, লেগ গ্লান্স কিংবা বড় শটের জন্য স্লগ করতেও আটকায়নি সাকিবের ব্যাট। প্রায় ১৫ দিন পর ব্যাট হাতে নিয়ে বেশ সাবলীলই মনে হয়েছে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারকে।
তবু তার প্রথম টেস্টে অংশগ্রহণ নিয়ে এখনও কাটেনি শঙ্কা। রোববারের ম্যাচে সাকিবকে পাবে কি না বাংলাদেশ দল, সেই সিদ্ধান্ত হবে আজকের অনুশীলন শেষে। দলের মেডিকেল টিম ও ট্রেইনারের মূল্যায়নের ওপর সিদ্ধান্ত নেবে টিম ম্যানেজম্যান্ট। যা হয়তো জানা যাবে সন্ধ্যার পর।
শুক্রবার সন্ধ্যায় দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর টিম ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে খেলা না খেলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে সাকিবের। তবে সেখানে আসেনি কোনো সিদ্ধান্ত। তাই এখন পর্যন্ত সাকিবকে পাওয়া যাবে না ধরেই এগোচ্ছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষাও করা হচ্ছে বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডারের জন্য।
Leave a Reply