উইমেন ডেস্ক: মঙ্গলবার, ০৫ অক্টোবর ২০২১, ২১ আশ্বিন ১৪২৮ |
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে তারেক রহমান শিক্ষিত না হওয়ায় মানুষ পুড়িয়ে মারার মতো পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড চালাতে পেরেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া শিক্ষিত না হওয়ায় নিজের পুত্রকেও শিক্ষিত করতে পারেননি। যার কারণে তারা ২০১৫ সালে সাড়ে ৩০০ নিরপরাধ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। তাদের মাঝে শিক্ষার আলো নেই বলেই তারা এমন জঘন্য পৈশাচিক কাজ করতে পেরেছে। তারা প্রতিপক্ষকে হত্যার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে চায়। আজীবন ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। এখনো তাদের সেই মানসিকতা রয়েই গেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সেমিনার কক্ষে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিতে শিক্ষকদের মর্যাদা শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারটির আয়োজন করে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ)।
হানিফ বলেন, দেশের সর্ব্বোচ্চ আদালত কেয়ারটেকার পদ্ধতি বাতিল করেছে। আদালতের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। আমরা চাই সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হোক। জনগণ যাদের ভালোবাসবে তাদের নির্বাচিত করবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জানতেন দেশকে এগিয়ে নিতে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষ দরকার। আর সেই সোনার মানুষ শিক্ষকরাই তৈরি করেন। তিনি শিক্ষকদের গুরুত্ব দিতেন, সম্মান করতেন। শিক্ষকদের প্রতি তার অসীম শ্রদ্ধা ছিল। যা বিভিন্ন সময়ে তার লেখার মধ্যদিয়ে প্রকাশ পেয়েছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেছেন। ৩২৫টি উচ্চ বিদ্যালয় ও ৩৩১টি কলেজকে জাতীয়করণ করেছেন। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার শিক্ষক এমপিওভুক্ত করেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা থেকে নৈতিক দায়িত্ব পালন করছেন।
বিএনপি-জামায়াত সরকারের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য বাংলাদেশে একটা ঘাটতি আছে। তারা ক্ষমতায় এসে শিক্ষক হিসেবে অযোগ্যদের নিয়োগের মাধ্যমে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের এসব নিয়োগের কারণে মফস্বল পর্যায়ে শিক্ষার মান নিচে নেমে গেছে।
তিনি বলেন, ভালো মানুষ হতে হলে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। দেশের সবচেয়ে বড় দুই দলের কথা যদি বলি, আমাদের প্রধানমন্ত্রী ৮১ সালে বাংলাদেশ এসে শত ব্যস্ততার মাঝেও সন্তানদের লেখাপড়া শিখিয়েছেন। যার কারণে আজ প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন। আর সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজম নিয়ে জাতিসংঘে কাজ করছেন। অন্যদিকে বেগম খালেদা জিয়া নিজেও লেখাপড়া শিখে নাই, সন্তানদেরও শিখায়নি। তার শিক্ষা নাই বলে জাতির পিতার শাহাদাত দিবসে মিথ্যা জন্মদিন পালন করেন। তার মধ্যে যদি নূন্যতম শিক্ষা থাকতো তাহলেও সে শোক দিবসে জন্মদিন পালন করতো না। স্কুল সার্টিফিকেট, পাসপোর্টে কোথাও তার জন্ম আগস্ট মাসে এটা উল্লেখ নেই। তার যদি শিক্ষা থাকতো তাহলে এটা করতে পারতো না।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উদ্দেশ্যে হানিফ বলেন, আপনি সজ্জন ব্যক্তি, শিক্ষিত মানুষ। আপনার মাঝে শিক্ষার আলো আছে। একজন অশিক্ষিত মানুষের নির্দেশনায় আপনি কথা বলেন এটা জাতি প্রত্যাশা করে না। আসলে তাদেরও কিছু করার নেই কারণ তারা পৈশাচিক মানসিকতা সম্পন্ন সন্ত্রাসী তারেক জিয়ার কাছে জিম্মী।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব নজরুল ইসলাম খান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আব্দুস সালাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান। সেমিনারে লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাশিপ সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। সেমিনার সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক সাজিদুল ইসলাম।
Leave a Reply