উইমেন ডেস্ক : কুষ্টিয়ায় ইজিবাইকচালক সুজন সিকদারকে কুপিয়ে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাকিবুল ইসলাম আসাদ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর দত্তপাড়া এলাকার খন্দকার ইউনুস আলীর ছেলে।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কয়ারগাছি এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে শরিফুল ইসলাম শরীফ এবং একই উপজেলার বড়খড়িখালি এলাকার গনি মোল্লার ছেলে রাজু মোল্লা।
রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শরিফ ও রাজু আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর পরই তাদেরকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আসাদ পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৮ মার্চ দুপুরের দিকে ইজিবাইক চালক সুজন সিকদার ভাড়ায় যাত্রী বহনের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। সেদিন রাতে তিনি বাড়ি ফেরেননি। নিখোঁজের পরের দিন ২৯ মার্চ সকালের দিকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়িয়া এলাকায় একটি লিচু বাগানের মধ্যে সুজনের গলা, পেট, নাভি, পিঠে এলোপাতাড়িভাবে কোপানো রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে ভেড়ামারা থানা পুলিশ।
আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে সুজনকে হত্যা করে তার ভাড়ায়চালিত ইজিবাইকটি নিয়ে যায়। ওই দিন নিহতের ভাই ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জগতী এলাকার মৃত মুনজিল সিকদারের ছেলে আলমগীর সিকদার বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় এজাহার দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শহিদুল্লাহ আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে ৪ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, চালক সুজনকে হত্যা ও ইজিবাইক ছিনতাইয়ের মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
Leave a Reply