উইমেন ডেস্ক : কুষ্টিয়ায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ও মোবাইল থেকে ছবি ডিলিট করতে বলায় স্কুলছাত্রীকে ছুরিকাঘাত করেছে রানা (১৭) নামের এক তরুণ।
শনিবার বিকেলে ঝাউদিয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত স্কুলছাত্রী বর্তমানে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ আশরাফুল নামে একজনকে আটক করেছেন।
আহত ছাত্রী কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। আর অভিযুক্ত রানা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর খাতের আলী ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
আহত ওই ছাত্রী বলেন, শনিবার বিকেলে ঝাউদিয়া বাজারের কালিতলা এলাকায় প্রাইভেট পড়তে যাই। সেখানে যাওয়ার পর এলাকার সম্পর্কে দুলাভাই আশরাফুল ইসলাম দেখা করার জন্য খবর দেন। পড়া শেষে আমি সেখানে গোলাপের হোটেলে দেখা করতে গেলে দেখি রানা সেখানে উপস্থিত আছেন। আমাকে দেখে রানা বলে, তোমার সমস্যা কি? তখন আমি বলি, আমার ছবি আপনার ছবির সঙ্গে জোড়া লাগিয়েছেন কেন? আমার ছবিগুলো ডিলিট করে দেন। এ সময় রানা জিজ্ঞাসা করে আমি তার সঙ্গে কথা বলি না কেন? এক পর্যায়ে পকেট থেকে ধারালো কিছু বের করে রানা আমার মুখে ও হাতে আঘাত করে। আমার মুখের ৪টি স্থানে আঘাত করেছে সে। এরপরই সে পালিয়ে যায়।
ওই ছাত্রী আরও বলেন, আমি যখন অষ্টম শ্রেণিতে পড়তাম, তখন থেকে সে আমার পেছনে ঘোরে। আমি তাকে পাত্তা দেইনি।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশরাফুল আলম বলেন,‘আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে এক ছাত্রী হাসপাতালে আসে। তার মুখে ও হাতে আঘাত রয়েছে। ব্লেড বা খুর জাতীয় কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। আঘাত গভীর নয়। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।’
ঝাউদিয়া বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার সরকার বলেন,‘বিকেলের দিকে ঘটনাটি ঘটেছে। আমার স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী সে। এলাকার এক বখাটে ব্লেড দিয়ে তাকে আঘাত করেছে বলে জানতে পেরেছি। আমরা খোঁজ-খবর রাখছি। পরিবার থেকে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আননুর জায়েদ বলেন,‘আশরাফুলকে আটক করা হয়েছে। রানা নামের যুবককে আটকের চেষ্টা চলছে। পরিবার থেকে এখনও কোন অভিযোগ আসেনি। তারপরও পুলিশ চেষ্টা করছে তাকে আটক করা জন্য।
Leave a Reply