উইমেন ডেস্ক : কুষ্টিয়া শহরে দুই ভাইয়ের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত ৩১ মার্চ রাত সাড়ে ৮টার সময় কুষ্টিয়া শহরের এনএসরোডস্থ হাসান জুয়েলার্স এর সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে হামলার শিকার বাদশা আলম বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের গট্টিয়া গ্রামের মৃত নওশের আলীর ছেলে বাদশা আলম ও আমিরুল ইসলাম পবন ৩১ মার্চ ২০২২ তারিখে রাত সাড়ে ৮টার সময় কুষ্টিয়া শহরের এনএসরোডস্থ হাসান জুয়েলার্স এর সামনে অবস্থানকালীন সময়ে এজাহারের ২নং আসামী কুষ্টিয়ার চরআমলাপাড়া এলাকার গোবিন্দ এর ছেলে সালাম (৩০) এসে এজাহারের বাদী বাদশা আলমকে নাম জিজ্ঞাসা করে। নাম বলা মাত্রই আসামীগণ বাদশা আলম ও তার ভাই পবনকে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে মারধর করতে থাকে।
এসময় এজাহারের ১নং আসামী কুষ্টিয়া মতিমিয়ার রেলগেট এলাকার আলতাফের ছেলে নোমান আলী (৪৫) বুকের উপর পা দিয়ে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে এবং প্যান্টের পকেট হতে দেড় লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এহাজারের ২নং আসামী সালাম স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এসময় বাদশা আলমকে তার ভাই পবন বাঁচাতে এগিয়ে আসলে এজাহারের ৩নং আসামী দহকুলা এলাকার জয়নাল (৩২) ও ৪নং আসামী কুমারখালী ছেউড়িয়া মন্ডলপাড়া এলাকার তারা (৩৫) এলোপাতাড়ি মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে।
এছাড়া ২নং আসামী সালাম ঘুষি মেড়ে মারাত্মকভাবে পবনকে জখম করে। যা গুরুত্বর আঘাত হিসেবে চিহ্নিত করেছে ডাক্তার। তাদের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহতদেরকে উদ্ধার করে। পরে আহতরা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়।
সেদিন রাতেই বাদশা আলম বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। এদিকে এজাহার দায়েরের দুদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো মামলা হয়নি।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাব্বিরুল আলম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply