কুষ্টিয়ার হালসা জামিলা খাতুন দারুস সূন্নাহ বহুমুখী মহিলা মাদ্রাসা ও মাজিলা দারুস সূন্নাহ মাদ্রাসার মহাতামিম এর বিরুদ্ধে ছাত্রীদের শ্লীলতা হানির অভিযোগ উঠেছে। মহিলা মাদ্রাসার আবাসিক কয়েকজন ছাত্রী তাদের অভিভাবকদের কাছে সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক আলমগীর তাদের অশালীন আচরণ করেন বলে অভিযোগ করলে অভিভাবকরা তাদের বাসায় নিয়ে যায়। পরে বিষয়টি নিয়ে পাটিকাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান শহর উদ্দিন,ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান সহ স্থানীয় মাতব্বররা সালের করে এর সত্যতা পেলে শিক্ষক আলমগীরকে সাময়িক বহিষ্কার করেন এবং তার পিছনে কেউ নামাজ পড়বেন না বলে সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু কয়েকদিন পরে হঠাত করে ঐ অভিযুক্ত শিক্ষক মাদ্রাসা কমিটির কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তির ইন্ধনে মাদ্রাসা মসজিদে নামাজে ইমামতি করা শুরু করলে এলাকায় দুইটি পক্ষের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় পাচ বছর ধরে কুষ্টিয়ার ইবি থানার পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নে অবস্থিত মাজিলা দারুস সূন্নাহ মাদ্রাসা ও হালসা বাজারে আবস্থিত জামিলা খাতুন দারুস সূন্নাহ মাদ্রাসা দুটিরই দায়িত্বে রয়েছেন মওলানা মোঃ আলমগীর হোসাইন। ইতিপূর্বে তার সম্পর্কে বিভিন্ন সময় নানা অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠলেও সম্প্রতি ঐ প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন ছাত্রী তাদের অভিভাবকদের কাছে অভিযোগ করে যে প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসাইন তাদের সাথে অশালীন আচরণ করে এমনকি গায়ে হাত দেন বলে অভিযোগ করে। এ বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার কিছু লোক বলছে, এমন নেক্কারজনক কাজের সাথে জড়িত একজন আলেমের পিছনে দাঁড়িয়ে কোনভাবেই নামাজ আদায় করা সম্ভব না।এমন অবস্থায় এলাকাজুড়ে যেকোনো সময় বাধতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বলে এলাকাবাসী আশংকা করেছে।এবিষয়ে মাজিলা দারুস সূন্নাহ মাদ্রাসা এলাকায় অনুসন্ধানে গেলে হাফেজ মওলানা মোঃ আলমগীর হোসাইনের অনুসারীরা জানান হাফেজ সাহেবের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে একটি মহল তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।তার বিরুদ্ধে এধরনের কোন অভিযোগের সত্যতা বা লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায় তবে তার বিরুদ্ধে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ব্যাবস্থা গ্রহন করবে। উল্লেখ্য কুষ্টিয়ার হালসা জামিলা খাতুন দারুস সূন্নাহ বহুমুখী মহিলা মাদ্রাসা ও মাজিলা দারুস সূন্নাহ মাদ্রাসার মহাতামিম এর বিরুদ্ধে সম্প্রতি আবাসিক ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠে।দুটি মাদ্রাসারই প্রধান মহাতামিম ঐ এলাকার স্থানিয় বাসিন্দা মোঃ রেজওয়ান আলীর ছেলে হাফেজ মওলানা মোঃ আলমগীর হোসাইন। প্রায় পাঁচ বছর ধরে মাদ্রাসা দুটিতে মহাতামিম এর দ্বায়িক্ত পালন করে আসছে সে।বেশ কিছুদিন ধরে এলাকার লোকজনের মুখে গুঞ্জন উঠেছে কথিত ঐ হাফেজ দ্বারা মাদ্রাসায় শিক্ষা নিতে আসা কোমলমতি ছাত্রীদের শ্লীলতাহানীর মত ঘটনা ঘটে।ঘটনার বিবরণে জানা যায়,ঐ এলাকার জামিলা খাতুন মহিলা মাদ্রাসার আবাসিক কয়েকজন ছাত্রী তাদের অভিভাবকদের কাছে সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসাইন তাদের সাথে অশালীন আচরণ করেন বলে অভিযোগ করলে অভিভাবকরা তাদের বাসায় নিয়ে যায়। পরে বিষয়টি নিয়ে পাটিকাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান শফরর উদ্দিন,ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান সহ স্থানীয় মাতব্বররা সালিশে করে এর সত্যতা পেলে শিক্ষক আলমগীরকে ঐ প্রতিষ্ঠানে যেতে নিষেধ করেন এবং তার পিছনে কেউ নামাজ পড়বেন না বলে সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু কয়েকদিন পরে হঠাত করে ঐ অভিযুক্ত শিক্ষক মাদ্রাসা কমিটির কতিপয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের ইন্ধনে মাদ্রাসা মসজিদে নামাজে ইমামতি করা শুরু করলে এলাকায় দুইটি পক্ষের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনার বিরাজ করছে।এ ব্যাপারে পাটিকাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান শফর উদ্দিন বলেন, মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আলমগীরের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাকে ঐ প্রতিষ্ঠানে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল কিন্ত পরর্তিতে কিভাবে সে ইমামতি করছে তা আমার জানা নেই ।ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাইদুর রহমান বিশ্বাস বলেন, একজন মাদ্রাসার শিক্ষক হিসাবে তার এই চরিত্র ঠিক না তার জন্য আমরা লজ্জিত ।এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুস্তাফিজুর রহমান ফোনে বলেন, ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেউ এখনও আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এলাকাবাসী বলেন,এমন নেক্কারজনক কাজের সাথে জড়িত একজন আলেমের পিছনে দাঁড়িয়েষ্ট কোনভাবেই নামাজ আদায় করা সম্ভব না।এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাফেজ মওলানা মোঃ আলমগীর হোসাইন বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ সত্য নয়।
Leave a Reply