উইমেন ডেস্ক: কুষ্টিয়ায় পুলিশের সামনে টেন্ডার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে পৌরসভায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সন্ত্রাসীরা ঠিকাদারসহ কয়েকজনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী কয়েকজন ঠিকাদার জানান, ২৫ জানুয়ারি কুষ্টিয়া শহর এবং শহরতলীর ১০ হাট-বাজার ইজারার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দরপত্র বিক্রি ও ২৩ ফেব্রুয়ারি দুপুর একটা পর্যন্ত সিডিউল জমা দেওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সকাল থেকে টেন্ডার বক্সের আশপাশে পাহারা বসায় ক্ষমতাসীন দলের লোকজন। এ সময় সিডিউল দাখিল করতে গেলে প্রথমে বাধা দেওয়া হয় এবং কয়েকজনের কাছ থেকে জোরপূর্বক সিডিউল ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক জন মতামত পত্রিকার সম্পাদক ও ঠিকাদার ইব্রাহিম হোসেন জানান, দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে কয়েকজন মিলে কুষ্টিয়া পৌর ভবনের দোতলায় রাখা টেন্ডার বক্সে সিডিউল ফেলতে গেলে শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মানব চাকীর নেতৃত্বে ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আফিল উদ্দিন, শহর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসিব কোরাইশী, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফেরদৌস খন্দকার, জুয়েলসহ ২০-২৫ জন পুলিশের সামনেই জোর পূর্বক সব কয়টি সিডিউল ছিনিয়ে নেন। তারা পে অর্ডারসহ সমস্ত সিডিউল ছিঁড়ে ফেলেন। এ সময় কয়েকজনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ইব্রাহিম হোসেন নামের একজন পুনরায় দরপত্র আহবানসহ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে শহর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসিব কোরাইশী দাবি করেন, দরপত্র জমা দেওয়ার সময় কাউকে বাধা প্রদান করেননি। আমি একটি দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য সেখানে গিয়েছিলাম।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুষ্টিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিন উদ্দিন জানান, কুষ্টিয়া পৌরসভার ইতিহাসে প্রকাশ্যে দরপত্র জমায় বাধা ও ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। পৌর বিধি অনুযায়ী এ ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান জানান, সেখানে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হই। ভুক্তভোগী কেউ এ ব্যাপারে লিখিত কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply