উইমেন ডেস্ক : কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়ন পরিষদের নগদ টাকা চুরির অভিযোগে মো. নাইম হোসেন (২১) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (২৮ আগষ্ট) রাতে কয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
নাইম হোসেন কয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেনের ভাতিজা ও মৃত জাকির হোসেনের ছেলে।
কয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কামরুল ইসলাম শাওন জানান, শুক্র ও শনিবার দুদিন অফিস বন্ধ ছিল। গত রবিবার সকালে অফিসে এসে দেখি জন্মনিবন্ধন কোডে জমা দেওয়ার টাকা নেই। কক্ষের উপরে তাকিয়ে দেখি সিলিং নেই। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি চেয়ারম্যান সাহেবের ভাতিজা নাইম হোসেন রাতের আধাঁরে অফিসে ঢুকেছিল এবং টাকা চুরি করেছে। বিষয়টি নাইমকে জিজ্ঞেস করলে টাকা নেওয়ার বিষয় স্বীকার করে।
তিনি আরও জানান, ‘বিষয়টি প্রথমে চেয়ারম্যান সাহেবকে এবং পরে ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি। পরে চেয়ারম্যান পুলিশকে খবর দেয় এবং পুলিশ নাইমকে নিয়ে যায়। মামলা করা হবে। তবে কত টাকা ছিল সেখানে তার সঠিক হিসাব জানা নেই। আনুমানিক ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা হতে পারে।’
জানতে চাইলে কয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন বলেন, কয়া ইউনিয়নের স্থায়ী কোনো পরিষদ ভবন নেই। আমার বাড়িতেই পরিষদের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সেখান থেকে জন্মনিবন্ধন সংক্রান্ত কিছু টাকা ঘরের সিলিং ভেঙে নাইম নিয়েছে। নাইম আমার আপন ভাতিজা। ওসি সাহেবকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, পরিষদের টাকা চুরির অভিযোগে নাইমকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল বলেন, পরিষদে ৩ হাজার টাকার মতো চুরি হয়েছে। পরিমাণ যাই হোক চুরিতো চুরিই। সচিবকে বাদী হয়ে থানায় মামলা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসক স্যারকে জানানো হয়েছে।
Leave a Reply