উইমেন ডেস্ক ।। রোববার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২৮ ভাদ্র ১৪২৮ |
কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার পৃথক বন্দুকযুদ্ধে দুই মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিজিবি। এসময় বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোরে টেকনাফের নাফনদীর তীর ও উখিয়ার ঘুমধুম রেজুআমতলী সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান টেকনাফ-২ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল ফয়সাল হাসান খান ও কক্সবাজার-৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ।
উখিয়ায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত মোহাম্মদ শাহজাহান (২৭) উখিয়া উপজেলা সদরের ডেইলপাড়া এলাকার সৈয়দ নুরের ছেলে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও ইয়াবা পাচারের অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে। তবে টেকনাফে মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিচয় এখনো নিশ্চিত করতে পারেননি বিজিবি কর্তৃপক্ষ। নিহত ব্যক্তি নাফনদী সাঁতরিয়ে আসায় তাকে রোহিঙ্গা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফয়সাল হাসান খান জানান, টেকনাফের নেচারপার্ক ডাবলজোড়া এলাকায় নাফনদীর তীরে নিয়মিত টহল দিচ্ছিলেন বিজিবি সদস্যরা। হঠাৎ করে কয়েকজনকে নৌকা নিয়ে নদী পার হয়ে এপাড়ে আসতে দেখে বিজিবি সদস্যরা চ্যালেঞ্জ করেন। এসময় তারা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি করলে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে দুজন নদীতে ঝাপ দিয়ে মিয়ানমারের দিকে চলে যায়।
পরে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে পাওয়া যায়। সঙ্গে তিনটি বস্তায় ইয়াবা ও একটি এলজি পাওয়া যায়। আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বস্তা খোলার পর ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। নিহত মাদক কারবারির নাম-পরিচয় নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ জানান, ভোরে উখিয়ার রেজুআমতলী সীমান্ত পিলার-৩৯ এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে একটি ইয়াবার চালান প্রবেশ করবে এমন সংবাদে টহল জোরদার করে বিজিবি। এসময় ৪/৫ জনের একটি দল প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের থামার সংকেত দেওয়া হয়। কিন্তু তারা বিজিবির অবস্থান টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালালে তারা পালিয়ে যান।
পরে ঘটনাস্থল থেকে শাহজাহান নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার ইয়াবা ও একটি এলজি জব্দ করা হয়।তিনি আরও জানান, নিহতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও ইয়াবা পাচারের অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায়ও পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply