উইমেন ডেস্ক:দিনাজপুরের হিলিতে হঠাৎ অস্থির হয়ে উঠেছে চালের বাজার। ফলে হিলি স্থলবন্দরের মোকামে কয়েকদিনের ব্যবধানে আমদানি করা চালের কেজিতে অন্তত ৮-১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭০ টাকায়। আবার দেশিও সব ধরনের চালের কেজি ৬-৭ টাকা বেড়েছে। ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন ক্রেতারা।
চাল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় কিছু অসাধু অটোচাল মিল মালিকরা মজুত করা চালের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। তবে দেশি মোটা চাল আগের দামে বিক্রি হচ্ছে বলে দাবি তারা।
এদিকে সম্প্রতি দিনাজপুর জেলা প্রশাসন চালসহ যেকোন ভোগ্যপণ্য যাতে কেউ মজুদ করতে না পারে সেজন্য মজুতদারীর বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিলেও তার বাস্তব চিত্র হিলি স্থলবন্দরে দেখা যায়নি। ফলে আরও দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন ত্রেতারা।
চাল ক্রেতা রফিক উদ্দীন বলেন, বাজারে ওএমএস চালু আছে, সেখানে চালের দাম বাড়ার কথা নয়। আগের চেয়ে দাম আরও কমবে। কিন্তু দেখছি তার বিপরীত। প্রতিনিয়ত দাম বাড়তেই আছে। আবার একদিন পর রমজান মাস শুরু হবে। বাজারে সরকারের নজরদারি না থাকায় ব্যবসায়ীরা তাদের খেয়াল খুশিমত দাম বাড়াচ্ছেন। সব চাপ পড়ছে আমাদের মত নিম্ন আয়ের মানুষদের ওপর।
হিলি বাজারের চাল বিক্রেতা বাবুল হোসেন জানিয়েছেন, গত বছরের ২১ আগষ্ট থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় ৪৯ হাজার মেট্রিকটন চাল আমদানি হয়েছে। আমদানিকারকেরা আমদানি করা চাল তাদের নিজস্ব গুদামে মজুদ করেন। কিন্তু সরকারের নির্দেশনায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে দেশে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর সুযোগ বুঝে বন্দরের মোকামসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে দাম বাড়িয়ে চাল ছাড়তে শুরু করেন বন্দরের আমদানিকারকেরা। ফলে দামের প্রভাব পড়তে থাকে হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি ও খুচরা মোকামে। ভারত থেকে আমদানি করা জয়ন্তী ভোগসহ কয়েকটি ব্যান্ডের মিনিকেট চাল গেল ৪ থেকে ৫ দিন আগে বিক্রি হয় ২৫ কেজির বস্তা ১৫৫০ টাকায়। সেই চাল এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৭৫০ টাকা বস্তায়। প্রতি কেজিতে ৮-১০ টাকা বেশিতে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
এদিকে সব ধরনের সরু চালের কেজি ৬-৭ টাকা বেড়েছে। আগে এই চাল ৫৬-৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, এখন বিক্রি হচ্ছে ৬২-৬৪ টাকায়। তবে মোটা চালের দাম না বাড়লেও ৪২-৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
Leave a Reply