স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. আবুল বাসার মো. খুরশীদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হয়েছে। আজ বিচারপতি মামনুন রহমান ও খোন্দকার দিলুরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি দেওয়া রায় অমান্য করায় তাদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না তা আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জানাতে বলা হয়। বাকি চারজন হলেন-স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) বাবলু কুমার শাহা, ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান, ইন্দো বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের (এএফএম) এমডি আনোয়ারুল হক। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ সংবাদ মাধ্যমকে জানান- তিনি আদালতে রিট পিটিশনারের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ। মনজিল মোরসেদ বলেন- অ্যান্টিবায়োটিক একটি জীবন রক্ষাকারী ওষুধ। সে কারণে আদালত এমন রায় দিয়েছেন। তবে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে উৎপাদন চালিয়ে বাজারে বিক্রির মাধ্যমে অনেক মানুষের ক্ষতি করছে ইন্দো বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস। এ অবস্থায় ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা অন্যান্যরা কোনো পদক্ষেপ নেননি। কোম্পানির বিক্রয় ডকুমেন্ট থেকেও প্রমাণ পাওয়া গেছে তারা অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন করেছেন। তারা আদালতের রায় অবমাননা করেছেন সেটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এর আগে জিএমপি অনুসরণ না করে বরিশালের ইন্দো বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসসহ ২০টি মেডিসিন কোম্পানি অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন করায় তা বন্ধে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা এক মামলার শুনানি শেষে তা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ইন্দো বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস অবৈধভাবে অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন ও বিক্রি করছে এমন খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়। এরপর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে উচ্চ আদালতে অবমাননার মামলা দয়ের করা হয়। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে আদালত এই আদেশ দেন।
Leave a Reply