বাংলাবাজার-শিমুলীয়া নৌরুট হয়ে দক্ষিনাঞ্চলের ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। পরিস্থিতি এমন দাড়িয়েছে যে যাত্রী চাপে ফেরিতে গাড়ি উঠতেই হিমশিম খাচ্ছে। এনায়েতপুরী রো রো ফেরির একটি ট্রিপেই ৩ হাজারের বেশি যাত্রী পারাপার হয়। যাত্রী চাপে ওই ট্রীপে কোন গাড়িই নিতে পারেনি ফেরিটি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে এ ভিড় আরো বাড়ে। দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকায় যাত্রীরা মটরসাইকেল, ৩ চাকার থ্রি-হুইলার,ইজিবাইকে চড়ে কয়েকগুণ ভাড়া গুনে গন্তব্যে পৌছেন।
ঘাটসূত্র জানায়, শুক্রবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে এ রুট হয়ে দক্ষিণাঞ্চলমুখো যাত্রী চাপ বাড়তে থাকে। স্পীডবোট, লঞ্চ, ট্রলার বন্ধ থাকায় ফেরিতে ছিলো উপচেপড়া ভিড়। শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ঘাটে আসা প্রতিটি ফেরি ছিলো যাত্রী ও যানবাহনে কানায় কানায় পরিপূর্ণ। এনায়েতপুরী রো রো ফেরির একটি ট্রিপেই ৩ হাজারের বেশি যাত্রী পারাপার হয়। যাত্রী চাপে ওই ট্রিপে কোনো গাড়িই নিতে পারেনি ফেরিটি। গাদাগাদি করে চলতে হয় সবাইকে। ফলে স্বাস্থ্যবিধি পালনের কোনো হদিসই ছিল না। ঢাকা থেকে পথে পথে বিভিন্ন হালকা যানবাহনে বাড়তি ভাড়া দিয়ে ফেরিতে গাদাগাদি করে পদ্মা পাড়ি দিয়ে বাংলাবাজার ঘাটে এসে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে পৌঁছাতে যাত্রীরা আরো ভোগান্তির শিকার হন।
দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকায় বাংলাবাজার ঘাট থেকে ইজিবাইক, সিএনজি, মোটরসাইকেলে বরিশালে ৫ শ’ থেকে ৬ শ’
টাকা, গোপালগঞ্জ ৫ শ’ টাকা, খুলনা ৭ শ’ টাকা, মাদারীপুর ২শ’ টাকা, বাগেরহাট ৬’শ ৫০ টাকাসহ প্রতিটি যানবাহনেই যাত্রীদের কাছ থেকে কয়েকগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেন।
এনায়েতপুরী রো রো ফেরির সেকেন্ড মাস্টার ইনচার্জ আমির হোসেন বলেন, আজ শিমুলিয়া থেকেই একটি ট্রীপেই ৩ হাজারের বেশি যাত্রী পার করেছি। ওই ট্রিপে কোবো গাড়ি উঠাতে পারিনি। শুধুমাত্র ৫০টি মটরসাইকেল উঠেছে। আর বাকি ট্রিপগুলোতেও যাত্রীর চাপ বেশি। ফলে যানবাহন কম উঠেছে।
বিআইডব্লিউটিসি মেরিন কর্মকর্তা আহমেদ আলী বলেন, যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি থাকায় ফেরিতে যানবাহন পারাপার বিঘ্ন ঘটছে।
Leave a Reply