পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে তৈল খরচ এর জন্য বৈদ্যুতিক জেনারেটরের না চালানো অভিযোগ পাওয়া গেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকলে বিকল্প হিসেবে রোগীদের জন্য বৈদ্যুতিক জেনারেটের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে দীর্ঘ কাল যাবদ সেটি চালু না করায় রাতে ও দিনে রোগীদের চরম ভোগান্তিতে থাকতে হয়। প্রায় প্রতি সপ্তাহের শনিবারে পিরোজপুরের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তাদের বৈদ্যুতিক লাইনের জরুরী সংস্কারের জন্য সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ রাখে। এদিকে জেলা হাসপাতালে বিকল্প কোন বিদ্যুতের ব্যবস্থা না থাকায় রোগীরা পড়েছে চরম বিপদে। বিশেষ করে হাসপাতালে ভর্তি থাকা অসুস্থ বৃদ্ধ ও শিশুরা অতিরিক্ত গরমে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় ২০০৪ সালে জেলা হাসপাতালে প্রথম জেনারেটর আনা হলে কয়েকদিনের মধ্যেই জেনারেটরটি চালানো বন্ধ রাখা হয়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ১৪বছর ধরে হাসপাতালে জেনারেটর থাকার পরেও চালানো সম্ভব হচ্ছে না তার এক মাত্র কারন হলো তেল। ১৯৯১ সালে প্রথম ৫০ শয্যা নিয়ে এ হাসপাতালটি নির্মিত হলে ২০০১ সালে এটিকে ১০০ শয্যায় উন্নিত করা হয়। ২০২০ সালে সদর হাসপাতাল থেকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে রুপান্তর করে ২৫০ শয্যায় উন্নিত করা হলে এর কাজ চলমান রয়েছে। কিন্ত শয্যা বাড়ানো হলেও বৈদ্যুতিক জেনারেটের ব্যবস্থা চালু করার কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা অভিযোগ করে জানান, দেশের সকল হাসপাতালে রোগীদের জন্য বৈদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা থাকলেও পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে কোন ব্যবস্থা নাই। বিদ্যুৎ চলে গেলে ডাক্তার ও নার্সেদের রুমে আইপিএস থাকার কারণে তাদের কোন সমস্যা হয় না। কিন্তু রোগীদের জন্য রাতে ওয়ার্ডে একটা লাইটেরও ব্যবস্থা নাই। রাতে ও দিনে অতিরিক্ত গরমে চিকিৎসাধীন রোগীরা আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে। রোগীরা আরো অভিযোগ করে বলেন, সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই হাসপাতালের একটি মহল বৈদ্যুতিক জেনারেটর না চালিয়ে সরকারের দুর্নাম করছে।
এ বিষয়ে পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ও জেলা হাসপাতালের তত্ববধায়ক ডা. মো. হাসনাত ইউসুফ জাকি জানান হাসপাতালের যে বৈদ্যুতিক জেনারেটর আছে তার তৈল খরচ অনেক বেশি এছাড়া এটা অনেক দিন চালানো হয় না বিধায় অকেজো হয়ে আছে। তাই সেটা চালানো সম্ভব নয়। তবে রোগীদের এই ভোগান্তির দূর করতে একটি ছোট জেটারেটর কেনার প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply