পটুয়াখালীর একটি বাসায় ফার্নিচারের কাজ করতে এসে টাকা ছিনতাইয়ের সময় বাধা দেয়ায় শিখা রানী শীল নামে এক নারীকে (৩৫) কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়েছে। আহত ওই নারীকে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেন- তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেয়ায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছে শিখা, তবে আহত নারী শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মো. সোলায়মান।
এদিকে, হামলার ঘটনায় জড়িত চিত্তরঞ্জন মিস্ত্রী (৪৫) নামে একজনকে হাতেনাতে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। পুলিশ আহত ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। শহরের সবুজবাগ পঞ্চম লেন সংলগ্ন এলাকায় রোববার শেষ বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ওই নারীর প্রতিবেশি বিধান সরকার জানান, পরিবারের অন্যরা কর্মস্থলে থাকায় ভিকটিম শিখা পটুয়াখালীর নিজ বাস ভবনে একা বসবাস করেন। গত তিন দিন ধরে অভিযুক্ত চিত্তরঞ্জন ভিকটিমের বাসায় ফার্নিচার মেরামতের কাজ করছেন। শিখার বাসায় টাকা দেখে চিত্তরঞ্জনের ভেতরে লোভের সৃষ্টি হয় এবং ওই টাকা হাতিয়ে নিতে নানা কৌশল করে। রোববার বিকালে শিখার ঘরের আলমারি থেকে টাকা সরানোর সময় শিখা দেখে ফেললে বাধা দেয়। এ সময় চিত্তরঞ্জন নিজেকে বাঁচাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিখাকে এলোপাথাড়ি আঘাত করে।
এ সময় শিখার মাথা, বাম চোখে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম হয়। ঘটনাক্রমে শিখার ডাকচিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসেন এবং শিখাকে উদ্ধার করে পুলিশকে অবহিত করেন। এই ফাঁকে চিত্তরঞ্জনকে পেয়ে গণধোলাই দেয়া হয়। অভিযুক্ত চিত্তরঞ্জনের বাড়ি লোহালিয়ার পালপাড়া এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মঙ্গল মিস্ত্রীর ছেলে।
পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আখতার মোর্শেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন জানান, এ ঘটনায় চিত্তরঞ্জনকে আটক করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিম সুস্থ হলে তার অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply