বাংলাদেশ নিয়ে বিজেপি নেতা অমিত শাহ’র মন্তব্য ‘জ্ঞানের দৈন্যতা’ বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তার মতে, এ ধরনের কথাবার্তা নির্বাচনী কৌশল হতে পারে। প্রতিবেশী দেশের শীর্ষ রাজনীতিকের কথায় বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন নয় জানিয়ে মন্ত্রী বললেন, এর মাধ্যমে জনমনে নেতিবাচক বার্তা যেতে পারে। তাই বন্ধুপ্রতিম দু’দেশের বিষয়ে কথাবার্তায় সংযমী থাকা দরকার।
বুধবার সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, মাথাপিছু আয়সহ অর্থনীতির অনেক সূচকে বাংলাদেশ এখন এগিয়ে। আর সামাজিক বহু সূচকে ভারত বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে। মন্ত্রীর আশঙ্কা, ঢাকা-দিল্লি সোনালী সম্পর্কের সময়ে অমিত শাহ’র মন্তব্য জনমনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
একইসাথে সবাইকে কথাবার্তায় সংযমী হওয়ারও অনুরোধ করেন ডক্টর মোমেন।
মন্ত্রী বলেন, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানোর কথা ভাবছে ঢাকা।
এর আগে, গত মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকায় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, বাংলাদেশের গরিব মানুষ খেতে পায় না। তাই ভারতে যায়। পশ্চিমবঙ্গে তারা ক্ষমতায় গেলে বন্ধ হবে এই অনুপ্রবেশ।
Leave a Reply